নওগাঁর মান্দায় নিখোঁজের চারদিন পর ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালক গোলাম রাব্বানীর (৩৫) ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার সাগরইল বাজার সংলগ্ন গুনদইল খাড়ির ব্রিজ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত গোলাম রাব্বানী মান্দা উপজেলার গনেশপুর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীরামপুর (বিলবাড়িয়া) গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। গত সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তার অটোরিকশারও কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় নিহত গোলাম রাব্বানীর বাবা আক্কাস আলী সরকার বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মান্দা থানায় মামলা করেন। মামলায় উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ হোসেন ও তুহিন ইসলামের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে গোলাম রাব্বানী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন দুপুর ২টার পর থেকে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় জিগাতলা বাজারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় সোমবার সকাল ১০টা ২ মিনিটে নিখোঁজ রাব্বানী তার অটোরিকশায় একই এলাকার নাহিদ ও তুহিনকে নিয়ে মহাদেবপুরের দিকে যাচ্ছিল। বুধবার বিকেলে সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজটি সংগ্রহের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর নাহিদ ও তুহিন গা ঢাকা দেয়।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, মহাদেবপুর থানা পুলিশের সহায়তায় গুনদইল খাড়ি থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের স্বজনেরা লাশটি গোলাম রাব্বানীর বলে শনাক্ত করে। সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নওগাঁ জেনারেলহাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও বলেন, এরইমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্গাপুর গ্রামের আবদুস সাত্তার মিস্ত্রি, উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের নার্গিস বেগম ও মহাদেবপুর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের আংগুর বেগমকে আটক করা হয়।