দুর্গা পূজায় ৩ দিনের সরকারী ছুটির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ময়মনসিংহ । শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরের সামনে সংগঠনটির আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কেন্দ্রীয় নির্দেশক্রমে ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি নৃপেশ রঞ্জন সরকার ও সাধারন সম্পাদক ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনটি সঞ্চালনা করেন জেলা শাখার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক দীপক চন্দ্র দে। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রচার সম্পাদক নীহার রঞ্জন কুন্ডু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট প্রাণতোষ সরকার, মহানগর শাখার সভাপতি সুব্রত কুমার চন্দ, সাধারন সম্পাদক রাজন আচার্য্য, জেলা হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, সাধারন সম্পাদক জীবন পাল, মহানগর হিন্দু যুব মহাজোটের সভাপতি সঞ্জিত পাল, সাধারন সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজন ধর, প্রচার সম্পাদক বিপ্লব বর্মন, হিন্দু সেচ্ছাসেবক মহাজোট মহানগর শাখার সভাপতি প্রমিজ দাসসহ জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর তাঁতীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও মহানগর যুবলীগ নেতা এম এ মোতালেব হোসেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দুর্গা পূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা পরিবার পরিজনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য সারাবছর এই দিনগুলো জন্য অপেক্ষায় থাকে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দুর্গা পূজায় ৫ দিনের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও সরকারিভাবে মাত্র এক দিনের ছুটি থাকে, সেটাও বিজয়া দশমীর দিন। যার ফলে কারো পক্ষেই পরিবার পরিজনের সাথে ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকে না। বিজয়া দশমীতে বাবা-মা, গুরুজন ও প্রতিবেশীদের প্রণাম করা ও আর্শীবাদ গ্রহণ একটি ধর্মীয় সামাজিক রীতি। কিন্তু একদিন ছুটি থাকায় চাকরিজীবী কারও পক্ষেই গ্রামে গিয়ে বাবা-মা বা গুরুজনদের সান্নিধ্য লাভের সুযোগ থাকে না। ফলে পূজার দিনগুলো বাবা-মা সন্তান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মানসিক কষ্টের মধ্যেই কাটাতে হয়।তাই আমরা আশা করছি, আসন্ন দুর্গা পূজার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী আদেশে ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশে থাকবেন।