যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা এস এম বজলুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ভারতে ইন্তেকালের ৪ দিন পর শনিবার রাতে তার মরদেহ নিজ বাড়ীতে পৌছায় এবং রোববার নামাজে জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। এদিন বেলা ১১ টা ১০ মিনিটে নেংগুড়াহাট ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে আটঘরা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে দাফন করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, মণিরামপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুছার ছোটভাই চালুয়াহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হন। গত জুলাই মাসে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয় ভারতের হায়দ্রাবাদের বিশেষায়িত এআইজি হাসপাতালে। তার লিভারটি (যকৃত) সম্পুর্ন নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বজলুর রহমানের একমাত্র ছেলে কলেজ ছাত্র ওয়াসিফ আহমেদ শুভর দেহে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে লিভারের ৭৫ ভাগ নিয়ে বজলুর রহমানের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। কিছুদিনের মধ্যে ছেলে শুভ পুরোপুরি সুস্থ হয়। বজলুর রহমানের অবস্থাও দিন দিন উন্নতির দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই বজলুর শারিরীক অবস্থার অবনতি দেখা দেয়। অবশেষে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি ইন্তিকাল করেন। ভারত থেকে বিমানযোগে শনিবার সন্ধ্যার পর তার মরদেহ আনাহয় ঢাকার শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। সেখান থেকে বজলুর রহমানের মরদেহ আনা হয় তার প্রিয় চালুয়াহাটি ইউনিয়নের আটঘরা গ্রামের নিজ বাড়িতে। এ সময় সেখানে স্বজনসহ এলাকাবাসীর আর্তনাদে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ বাড়িতে গিয়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা বজলুকে একনজর দেখার জন্য ভীড় করেন। মরহুমের নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, আহবায়য়ক অ্যাড. শহীদ ইকবাল হোসেন, জেলা জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন লাভলু, আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ সরদার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনতা।