সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
নবীনগরে ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সীতাকুণ্ডে গাঁজা সহ আটক ৩ জিএমপি পূবাইল থানার শ্রেষ্ঠ এসআই হুমায়ুন কবির রংপুরে কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা গ্রেফতার জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন আওয়ামী লীগ নেতা  খুলনায় গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্থাপনার উদ্বোধন বিভাগীয় প্রশাসন রংপুরের আয়োজনে অভিযাত্রিকের সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হেলিকপ্টার ব্যাবসায় সীমান্ত, সঙ্গী হলেন বারিশ বৈশাখী টিভির মিউজিক্যাল শো-তে ফারিহা পাঁচবিবিতে কড়িয়া মাদ্রাসা দাখিল পরীক্ষায় এবারও জেলার শীর্ষে পাঁচবিবিতে পুত্রবধুর হাতে শাশুড়ি নিহত, পুত্রবধু আটক বকশীগঞ্জে রাতের আঁধারে পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে! অধিকার পৌর ৮ নং ওয়ার্ডে ঘোড়া মার্কার গনসংযোগ ও পথসভা জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই ………অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমন আমিরাতে জাতীয় হিন্দু মহাজোট আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে শুভ মহারাম নবমী উদযাপন
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

আজ পাইকগাছার শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দিন মনি মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী- দৈনিক বাংলার অধিকার

শেখ খায়রুল ইসলাম, পাইকগাছা খুলনা প্রতিনিধি  / ৭৯ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১, ২:০৮ অপরাহ্ণ

পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মাহতাব উদ্দিন মনিমিয়াসহ৩০জনকে গণহত্যা করে কপিলমুনি ক্যাম্পের রাজাকাররা । তারা ঐ দিন সকাল থেকে পাইকগাছা বাজারের বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে। তাদের এই বিচরণ এলাকার মানুষের মনে নানান রকম সন্দেহের সৃষ্টি করে।

রাজাকাররা ওই রাতেই সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সংগঠক শেখ মাহাতাব উদ্দিন মনি মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, গাজী শামসুর রহমান, মনোহর, নুনু বৈরাগী সহ কমপক্ষে ৩০ জন মানুষকে গুলি করে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে। গদাইপুর ইউনিয়ন এর জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শহীদ শেখ মাহাতাব উদ্দিন মনি মিয়ার শরীরে ১১ টি বুলেট পাওয়া যায়।
সেদিনের ঘটনা
শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দিন মনি মিয়া ছিলেন পাইকগাছার অভিভাবক, গদাইপুর ইউনিয়ন এর জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। এ কারণে কপিলমুনি রাজাকাররা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২৮ জুলাই মনি মিয়াকে ধরে আনার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঐদিন সুবেহ সাদেকের সময় মনি মিয়ার ছোট ভাই জামাল উদ্দিন পায়ে হেঁটে এসে কপিলমুনির হাওলি গ্রামে তার ভগ্নিপতি মরহুম শেখ আবু তালেব এর সাথে তার বাড়িতে সাক্ষাৎ করেন এবং ঘটনা তাকে অবহিত করেন। আবু তালেব তাৎক্ষণিক জামাল উদ্দিন কে সাথে নিয়ে কপিলমুনি রাজাকার ক্যাম্পে গিয়ে কমান্ডারের সাথে দেখা করেন,এবং মনি মিয়াকে ছেড়ে দেবার জন্য অনুরোধ করেন। রাজাকার কমান্ডার তাকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন,বলেন কপিলমুনিতে নিয়ে আসার পর আপনাকে ডেকে আনা হবে এবং আপনার হাতেই তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।এদিকে ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকাজুড়ে মানুষের মাঝে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, ঘটনা আঁচ করতে পেরে রাজাকার কমান্ডার মনি মিয়াকে পথিমধ্যে হত্যার নির্দেশ দেয়। রাজাকাররা সিলেমানপুর এসে মনিমিয়াকে কপোতাক্ষ নদীতে নামিয়ে দিয়ে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। বছর ঘুরে ২৮ জুলাই বারবার ফিরে আসে। পাইকগাছার অভিভাবক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দিন মনি মিয়ার নাম আজ আর সেভাবে স্মরণ করা হয় না বটে তবে স্মৃতির পাতায় ময়লা জমলে ও তার অক্ষরগুলো অস্পষ্ট হয়ে যায় না,, পাইকগাছার প্রবীণ মানুষেরা তাই পরম শ্রদ্ধায় আজও স্মরণ করেন শহীদ শেখ মাহতাব উদ্দিন মনি মিয়ার নাম।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!