সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:-
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানা এলাকায় ঈদের দিন এতিম কিশোরীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এক পাষণ্ড।
সোমবার (২৫ মে) পাটকেলঘাটা থানার অদূরে বাজার এলাকায় চিকিৎসক বরকতউল্লার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। পাটকেলঘাটার চিকিৎসক বরকতউল্লাহ’র বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়র খালিদ সাইফুল্লাহ বাড়ীর এতিম মেয়ে রাণীর (১৩) ওপর এই নির্যাতন করে। নির্মম নির্যাতনে রাণীর একটি হাত ভেঙে যায়। বর্তমানে এতিম মেয়েটি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,ঈদের দিন দুপুরে ঘর পরিষ্কারের কাজ করছিলেন রাণী। এ সময় দরজায় কড়া নাড়েন চিকিৎসকের বড় ছেলে খালিদ সাইফুল্লাহ। ঘর পরিষ্কারের কাজ ফেলে দরজা খুলতে একটু দেরী হওয়ায় ক্ষেপে যান তিনি। এ সময় পাশে থাকা ইট দিয়ে এতিম রাণীর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতন শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে রানীর একটি হাত ভেঙে গেলে রানী জ্ঞান হারিয়ে মেঝেতে পড়ে যান। এ সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা এগিয়ে এসে রাণীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রাণী বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাণীর হাত ভাঙার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে চিকিৎসক বরকাতউল্লাহ ও তার স্ত্রী এ প্রতিনিধিকে জানান, রাণীর বাড়ী যশোরে খেদা পাড়ায়। রাণীর জন্মের সময় তার মা মারা যান। এ সময় তিনি ও তার স্ত্রী এতিম মেয়েটিকে বুকে তুলে নেন এবং নিজের মেয়ের মত মানুষ করতে থাকেন। কিন্তু তার বড় ছেলে ও ছেলের স্ত্রী লাবণী প্রায় মেয়েটিকে নির্যাতন করতো। তিনি ও তার স্ত্রী আরো বলেন, বড় ছেলে ও তার স্ত্রীর কাছে তারা অসহায়। এতিম মেয়েটির পাশে তারা দঁড়াতে পারছেন না। তারাছাড়া ওর আর কেউ নেই। তারা ছেলের বিরুদ্ধে যেয়ে থানায় কোনো অভিযোগও দিতে পারছেন না।এলাকাবাসী খালেদ সাইফুল্লার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে।
পাটকেলগাটা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াাহিদ মোর্শেদ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, ইতোমধ্যে নির্যাতনের শিকার রাণীর সাথে কথা হয়েছে। সে অভিযোগ দিতে চেয়েছে। অভিযোগ পেলেই তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।