যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার ১০ নম্বর মশ্মিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের (রামপুর ও হাকিমপুর) ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এমনই একজন সমাজ সেবক, যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি হলেন (রামপুর ও হাকিমপুর) ৩ নং ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আবু বাক্কার গাজীর সুযোগ্য সন্তান মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন।
তারপরও মানুষের প্রত্যাশা থাকে। তিনি, তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আসাদুজ্জামান আসাদ কাজেও সফল হয়েছেন, সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সহযোগিতার আশাও ব্যক্ত করে চলেছেন। মেম্বার হিসেবে সফলতা পাওয়ায় তিনি আজ সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন। এ ব্যক্তি তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয়, তিনি অনেক প্রবীণ, তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। এ সকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সে সব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তাঁর সাথে দলের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী আসাদুজ্জামান আসাদ। ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোন অহংকার নেই।
নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। কাজ করছেন নৌকার জন্য। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। বয়সে তরুন হলেও তিনি মনোবল হারাননি। এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা বা মেম্বার বুঝিনা আসাদ ভাই একজন ভাল মানুষ, তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি, তিনি মেম্বার থাকলে আমাদের গ্ৰামের উপকার হবে। আমাদের দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং উদীয়মান নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি সদস্য হিসেবে সবশ্রেনীর মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি এই ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর মাত্র কিছু দিনের মাথায় তাঁর প্রিয় এলাকাকে উন্নয়নের মাষ্টার প্লানের আওতায় এনে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
মেধা, মনন, কর্ম প্রয়াস শ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন পরিশীলিতভাবে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নে মহা-পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন।
গৃহিত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এলাকা পরিদর্শনকালে এ প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমান জনপ্রিয় এ মেম্বার পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের অধিকারী দানশীল, মেধাবী মানুষ ও তাঁর বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যার ফলে এলাকাবাসী তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছেন। সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।
তিনি এ পর্যন্ত এলাকার রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মসজিদ, ঈদগাঁমাঠ সংস্কার করে গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবদানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনও চলমান আছে। আগামী দিনে আসাদুজ্জামান আসাদ সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গ্ৰামকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন এমনটাই প্রত্যাশা।
তাঁর সম্পর্কে সাধারণ মানুষ বলেন যেমন আসাদ আমাদের এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে মিশে আছে রক্তের বাঁধন হয়ে। এ শ্রদ্ধা ভালবাসার চোঁখে দেখার কিছু কারণ রয়েছে। যুগযুগের পরিশ্রমের ফলে আজ আসাদ পরিণত হয়েছেন ভালবাসার পাত্র বা ব্যক্তি হিসাবে। তাঁর বিশেষ কিছু আলোচিত দিক রয়েছে, যা অন্যদের মোকাবেলায় তিনি-ই সেরা। যাঁর মধ্যে রয়েছে গরিব দুঃখী মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। আসাদুজ্জামান আসাদ সকালের কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ চেয়েছেন।