বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কুড়িগ্রামে উপজেলা নিবার্চনে ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে, পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে” সাবেকুন নাহার শিখার “জয়, নতুন ভোটারের বিজয় কুড়িগ্রামে উপজেলা নিবার্চনে ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে, পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো কুড়িগ্রামে জাল ভোট দিতে এসে ধরা খেলো রিকশাওয়ালা  চাঁদপুরের তিন উপজেলায় বেসকারী ভাবে চেয়ারম্যান হলেন জোকা-দিঘীরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে আজিজ প্যানেল বিজয়ী সোনাইমুড়ীতে ৬ নির্বাচন কর্মকর্তা আটক, জাল ভোট দেওয়ার দায়ের ২জনের কারাদন্ড চাটখিলে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন, জুতা মিছিল নোয়াখালীতে তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতারা বিজয়ী দাকোপের বাজুয়ায় সাপ্তাহিক হাট-বাজারে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেনের (ঘোড়া) প্রতিকের গণসংযোগ সীতাকুণ্ডে মাহিনুর শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে শ্রমিক নিহত প্রতিক বরাদ্দের পর বিভিন্ন স্থানে আঃ লীগ নেতাদের মিছিল, বিএনপি থেকে সেই প্রার্থী কে শোকজ শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাচনে ঘোড়া, চশমা ও প্রজাপতি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত। কলস মার্কা প্রতীক পেয়েছেন পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সহকারি অধ্যাপক (ইংরেজি) সুলতানা নাসরীন এম.এ মুন্সীগঞ্জে চলছে দুই উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিযোগিতা
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

জগদ্দল বিহার” নওগাঁর ইতিহাস

পাঁচবিবি থেকে সাখাওয়াত হোসেনঃ / ১৭৬ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩, ১০:৪৩ অপরাহ্ণ

নওগাঁ জেলা সদর থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরে ধামইরহাট উপজেলার একটি প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান জগদ্দল বিহার (Jagaddal Vihara)। প্রায় নয়শ বছরের প্রাচীন এই স্থাপত্য নিদর্শন স্থানীয়দের কাছে বটকৃষ্ণ জমিদার বাড়ীর ধ্বংসাবশেষ হিসাবেও পরিচিত। মূলত জগদ্দল মহাবিহার ১১শ থেকে ১২শ শতাব্দীর দিকে প্রতিষ্ঠিত একটি বৌদ্ধ বিহার ও শিক্ষা কেন্দ্র। ঐতিহাসিক সূত্র মতে, একাদশ শতকে রাজা রামপাল ভীমকে পরাজিত করে প্রিয় পিতৃভূমি বরেন্দ্র উদ্ধার করে প্রজা সাধারণের জন্য পাহারপুরের কাছে রাজধানী রামাবতী ও শিক্ষা বিস্তারের জন্য জগদ্দল মহাবিহার (বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠা করেন। পাল শাসনামলের শেষার্ধে স্থাপিত প্রাচীন বাংলার শিক্ষা ও দীক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ এই বিহারে বিভূতিচন্দ্র, আচার্য দানশীল, আচার্য মোক্ষকর গুপ্ত, শুভাকর গুপ্তের মত খ্যাত নামা পণ্ডিতগণ শিক্ষা গ্রহন এবং গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। প্রাচীন বাংলার বিভিন্ন ধর্মমঙ্গল কাব্যগ্রন্থ ও নীহারঞ্জন রায়ের বাঙ্গালীর ইতিহাস গ্রন্থে এই বিহারের কথা উল্লেখ রয়েছে।

জগদ্দল মহাবিহারের দৈর্ঘ্য পূর্ব-পশ্চিমে ১০৫ মিটার, উত্তর-দক্ষিনে ৮৫ মিটার ও উচ্চতা ৫.৪০ মিটার। ১৯৯৭ সালে এই স্থান খননের মাধ্যমে একটি বিহারের আংশিক স্থাপত্য কাঠামো ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রত্নতত্ত্ব আবিষ্কৃত হয়। পরবর্তীতে ২০০০, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে জগদ্দল বিহারের ৩২ টির ও বেশী জায়গায় খনন করে অলংকৃত মূর্তি, ১৩৪ টি প্রত্নতত্ত্ব , ১৪টি ব্রোঞ্জের মূর্তি, পোড়া মাটির টেরাকোটা, ৩৩টি ভিক্ষু কক্ষ ও ৮x৮ মিটার প্রস্থের হলঘর পাওয়া গিয়েছে। আবার একমাত্র এই বিহার থেকেই ৬০ সে.মি পুরত্ব বিশিষ্ট বৌদ্ধ বিহারের ছাদের ভগ্নাংশ ও গ্রানাইট পাথরের পিলার উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও খননের মাধ্যমে আবিষ্কৃত ভিক্ষু কক্ষের প্রবেশ পথে অলংকৃত পাথরের চৌকাঠ, আবার কোথাও কোথাও দেবী কক্ষও দেখা যায়। জগদ্দল বিহার থেকে প্রাপ্ত মূল্যবান প্রত্ন সম্পদ গুলো বর্তমানে পাহাড়পুর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ইতিহাস থেকে সংগৃহিত।।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!