মোঃ ইব্রাহিম খলিল পন্ডিত,দৈনিক বাংলার অধিকারঃ
ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্প কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণ ও মেয়াদ শেষ হওয়া সকল কর্মীর পুনর্বহালের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল সার্ভিস একতা কল্যাণ পরিষদ। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অক্টোবর মাসব্যাপী জেলা ও বিভাগীয় কনভেনশন, আগামী ৪ নভেম্বর ঢাকার শাহবাগে সংহতি সমাবেশ; ১৬ নভেম্বর জেলায় জেলায় বিক্ষোভ এবং ২৮ নভেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশের ন্যাশনাল সার্ভিস পরিষদের সভাপতি আতিক হাসান রাজা। চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ঘরে ঘরে চাকুরির অঙ্গিকার বাস্তবায়নের নামে প্রধানমন্ত্রীর ‘ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি’কে জাতির সঙ্গে মহাপ্রতারণা বলে অভিহিত করে বলা হয়, ক্ষমতাসীন দলের ২০০৮ সালের নির্বাচন পূর্ব অঙ্গিকার ‘দিন বদলের সনদ’-এ প্রতি পরিবারে অন্তত একজনকে চাকুরি দেওয়ার কথা বাস্তবায়নের নামে ২০১০ সালের মার্চ মাসে কুড়িগ্রামে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে দেশের ৩৭ জেলায় ২ লাখ ৩৮ হাজার নারী-পুরুষকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন খাতে তারা যোগদান করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দুই বছরের মাথায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা পুনরায় বেকার হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে দেশের তরুণ প্রজন্মকে কর্মসংস্থানের আশা দেখিয়ে ক্ষমতায় এসে বেকার যুবকদের প্রতি সীমাহীন অবহেলার নজির স্থাপন করেছে। বেকার হয়ে পড়া ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীরা শুধু অর্থনৈতিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি, তারা সামাজিকভাবেও নিগৃহীত হয়েছেন। যারা জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তারা এর উপযুক্ত জবাব পাবে।