মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিকের নামে আশুলিয়া থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় বসবাসরত এক ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ১৬ মে মামলাটি রুজু করা হয়।
শুক্রবার সকালে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামী শেখ মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিক (৪৩), মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর ইউনিয়নের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত আট বছর আগে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয় ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী ওই নারীর। আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকুরির সুবাদে আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় ভাড়া থাকতেন ওই নারী। দীর্ঘদিনর পরিচয়ের জেরে একপর্যায়ে ওই নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন শফিকুল ইসলাম।
এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আত্মীয় ¯^জনদের কাছে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে কৌশলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। দীর্ঘ আট বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে বার বার শারীরিক সম্পর্ক করলেও বিয়ে না করে ঘুরাতে থাকে। গত ৪ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে ওই নারীর ভাড়া বাসায় গিয়ে ফের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বিয়ে করতে অ¯^ীকৃতি জানায় শফিকুল ইসলাম।
অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ওই নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার সময় গোপনে তার মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এরপর থেকেই উক্ত ভিডিও ও গোপন ছবি ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে সম্মানহানির হুমকি প্রদাান করে। একপর্যায়ে উক্ত ভিডিও ও গোপন ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানায়, শফিকুল ইসলাম বিয়ের আশ্বাসে কৌশলে আমাকে ধর্ষণ করে ও মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে সে আমার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে আমার সম্মানহানি করেছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, একজন নারী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছে। আসামীকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।