লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে বাবা ও বোনজামাইকে এলজি ঠেকিয়ে এক মাদ্রসাছাত্রীকে অপহরণে চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
এসময় মো. রাসেল, আরিফ হোসেন, মো. শাওন, মোরশেদ আলম ও রবিউল আলম নামে ৫ যুবককে আটক করে স্থানীয়রা।
শনিবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের দক্ষিণ নুরুল্লাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটকদের কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
আটকর রাসেল সদরের চরশাহী ইউনিয়নের বসুদুহিতা গ্রামের মো. আলির ছেলে, রবিউল চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের সামছুল হুদার ছেলে। আরিফ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার মোহাম্মদপুর গ্রামের মাহফুজুর রহমানের ছেলে, শাওন একই গ্রামের মো. হায়দারের ছেলে ও মোরশেদ আলম ওই গ্রামের শহীদুল ইসলামের ছেলে। এরমধ্যে রাসেলের নামে বেগমগঞ্জ থানায় মাদক মামলা ও চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভূক্তভোগী মেয়ে স্থানীয় রাজাপুর ফাতিহা মোহম্মদীয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে রাসেল ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো। নুরুল্লাপুর গ্রামে ছাত্রীদের বাড়ির কাছাকাছি বসতি (বাড়িঘর) কম। শনিবার রাতে তাকে তুলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রাসেল লোকজন নিয়ে ওৎ পেতে তাদের বাড়ির পাশে লুকিয়ে থাকে। দরজা বন্ধ থাকায় তারা ঘরে ঢোকেনি। ঘটনার সময় ছাত্রীর বড় বোনজামাই বাড়িতে আসলে ঘরের দরজা খোলা হয়। তাৎক্ষণিক আড়াল থেকে বের হয়ে এসে রাসেলসহ তার লোকজন ঘরে ঢুকে ছাত্রীর বোনজামাই ও বাবাকে অস্ত্র ঠেকায়। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ছাত্রীকে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে তারা পালানোর চেষ্টা করে৷ এসময় চিৎকার শুনে একটি অটোরিকশাকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে খবর দেয়। অন্য দুটি অটোরিকশা আটক করা সম্ভব হয়নি।
ছাত্রীর বোনজামাই বলেন, আমাদের অস্ত্র ঠেকিয়ে আমার বোনকে (শালি) ১৫-২০ জনের মুখোশদারী একদল সন্ত্রাসী অপহরণের চেষ্টা করে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসায় তাকে অপহরণ করতে পারেনি। এ ঘটনায় আমরা মামলা দায়ের করবো।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এরমধ্যে রাসেলের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ ও বেগমগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অপহরণ মামলা দায়ের করা হবে। তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার (২১ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর আদালতের সৌপর্দ করা হবে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।