হাসপাতালের বেড বাড়ানো নয়, এখন সময় এসেছে করোনারোগীর সংখ্যা কমানোর বলে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধন উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন। জাহিদ মালেক বলেন, এখন সময় এসেছে করোনারোগীর সংখ্যা কমানোর, হাসপাতালের বেড বাড়ানোর নয়। করোনা ইনফেকশন কমাতে হবে। ইনফেকশন হাসপাতালে, ক্লিনিকে তৈরি হয় না। ইনফেকশন রাস্তাঘাটে দোকানপাটে ফেরিতে, ফ্যাক্টরিতে, গ্রামগঞ্জে হয়। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব মানছে না, ফলে ইনফেকশনের হার বাড়ছে।
তিনি বলেন, ইনফেকশনের হার কমাবে, ডাক্তার-নার্সতো আর ফেরি কন্ট্রোল করতে পারবে না।
ফ্যাক্টরি কন্ট্রোল করতে পারবে না। তাহলে তারা কন্ট্রোল করবে। জনগণ পারবে, আমাদের জনগণের সাপোর্ট দরকার ইনফেকশনের হার কমাতে। আমাদের যারা বিভিন্ন বাহিনী আছে তারা পারবে। আমাদের নেতাকর্মীদের আমরা অনুরোধ করব তারা ইনফেকশন কমাতে যেন প্রচার-প্রচারণা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে ১৮ হাজার কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। টিকা পাওয়া সাপেক্ষে অনেক কিছু নির্ভর করে। সারা বছরব্যাপী আমাদের টিকা কার্যক্রম চলবে। গ্রামগঞ্জে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স্ক নারীদের বেশি গুরুত্ব দেব। কারণ আমাদের ফ্রন্টলাইনের লোকজন, ছাত্ররা প্রায় টিকা পেয়েছেন। তাই আমরা বর্তমানে গ্রামগঞ্জে টিকা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে আমাদের দেড় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। এরইমধ্যে তারা টিকা পাঠানোও শুরু করেছে। আমরা চীন থেকে আরও ছয় কোটি টিকার চুক্তি করব। এর মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দুই কোটি করে মোট চার কোটি টিকা আসবে। আগস্ট মাসেও টিকা আসবে, তবে কিছুটা কম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম।
ফিল্ড হাসপাতালটি প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৫৭ শয্যা চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এপ্রিল হাসপাতালকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে।