সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
পাঁচবিবিতে আলোচনার শীর্ষে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাজিনারা টুনি সীতাকুণ্ডে লোকালয় থেকে ব্রিটিশ আমলের গ্রেনেড উদ্ধার নতুন সিনেমায় সোহেল মন্ডল-আইশা খান শুক্রবার সারাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘সুস্বাগতম’ দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার পাঁচবিবিতে কৃষি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত খুলনার দাকোপের বাজুয়া চুনকুড়ি দাসপাড়ায় পরকিয়ার জের ধরে গৃহবধুর আত্নহত্যার ঘটনার ভিন্ন মত পোষন করেছে শংকর দাস কচুয়ায় তালা মার্কা ভোট চেয়ে বিরামহীন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিক রাকিবুল হাসান পাঁচবিবিতে উপজেলা নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেয়ায় বিএনপির ২ নেতাকে অব্যাহতি দেশে ১১০টি প্রতিবন্ধী সহায়তা সেবা কেন্দ্র রয়েছে: রংপুরে দীপু মনি কালীগঞ্জে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত পূবাইলে গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে ছিনতাই রায়পুর উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করায় এমপির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন খুলনার দাকোপের লাউডোব ইউনিয়নের ২০২৪-২৫ উন্মুক্ত বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে অনাবৃষ্টি জনিত লিচুর ফলন হ্রাস, বাগান মালিকের মাথায় হাত
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

আমার মুল শক্তি বাংলার জনগন” (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লবঃফরিদপুর। আমার মুল শক্তি বাংলার জনগন” এদের ভালবাসা,দোয়া নিয়ে সোনার দেশটাকে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি। এই দেশ ও দেশের জনগনের জন্য আমার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেকে উজার করে দিয়ে কাজ করে গিয়েছেন,আমি সেই পিতার কন্যা হিসাবে পিতার আদর্শেকে আঁকড়ে ধরে দেশ ও জনগনের কাজ করে চলছি। আওয়ামী লীগ সরকার সর্বদা দেশ ও জাতিকে নিয়ে কাজ করেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে আজ আপনাদের মাঝে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উপহার দিয়ে গেলাম। আগামীতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনবেন এটাই আপনাদের কাছে আমার আহ্বান। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জনসভা মঞ্চে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। আজ সেই পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল চালু করে দিলাম। আজকে সারাবিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আজ সারাবিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।এটি করতে পেরেছি কারণ বাংলাদেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবায় রাখতে পারবা না। তো সেই বাংলাদেশের মানুষকে আর কেউ দাবায় রাখতে পারবে না। শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নৌকা পদ্মা সেতু, রেল সেতৃ করে দিয়েছে, রাস্তাঘাটের উন্নতি করেছে। নৌকা আপনাদের কলেজ, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় দিচ্ছে। নৌকাই এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনে। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ যাতে আপনাদের সেবা করতে পারে, আপনাদের কাছে আমার সেই আবেদন থাকলো। অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক চক্রান্ত; কিন্তু আমার ভরসা একমাত্র বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা আছেন, তারা অস্ত্র নিয়ে ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। এসময় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামাতের সমালোচনা করে বলেন, ওই বিএনপি যে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে, দুর্নীতি করে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে ভেগেছে, অর্থ আত্মসাৎ করেছে, অস্ত্র চোরা কারবারি। এই হলো বিএনপির নেতা। আর জামাতে ইসলামী হচ্ছে যুদ্ধ অপরাধী। এরা দেশকে ধ্বংস করে দিবে। আর এদের ধ্বংসের হাত থেকে দেশকে রক্ষায় নৌকা মার্কাই আপনাদের সবরকমের সহযোগিতা দেবে। কোরআনের সুরা কাফেরুনের উদ্ধৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে আমরা তাকে সহযোগিতা করবো। বিএনপি ক্ষমতায় এসে কি করেছে? সকলের উপর অত্যাচার, খুনখারাবি। আওয়ামী লীগের একটি নেতাকর্মীকেও ছাড়েনি তারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এই দেশকে গড়তে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক।মন্দা কোভিড-১৯ এবং এই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, অনেক দেশে অর্থনৈতিক ঘাটতি। বাংলাদেশে এক ইঞ্চি জমি যেনো অনাবাদি না থাকে। আপনারা যা পারেন কিছু ফসল ফলান। যা পারেন উৎপাদন করেন। নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করতে হবে। তিনি বলেন, আমি কিন্তু নিজের সব জমি চাষ করা শুরু করে দিয়েছি। শুধ তাই না, গণভবনও এখন একটা খামার হয়ে গেছে। সেখানেও ধান, হলুদ, মরিচ, পেঁয়াজ যা যা পারি সব উৎপাদন করি, তরিতরকারি ফলমুল। কাজেই সবার উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে। বরং আমরা অনেক দেশকে সাহায্য করতে পারবো। বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক খরচ হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানহীন থাকবে না। আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করে জ্ঞানবিজ্ঞানে বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে পৌছাতে থাকেন। একপর্যায়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে পুরো স্টেডিয়ামের মাঠ। জনতার ভীর উপচে পড়ে মাঠের বাইরে রাস্তাঘাটে। এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি। পরে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ভাঙ্গা রেল জংশনে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে পৌঁছান সমাবেশস্থলে।

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লবঃফরিদপুর। / ৯২ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩, ৮:১৯ অপরাহ্ণ

 

আমার মুল শক্তি বাংলার জনগন” এদের ভালবাসা,দোয়া নিয়ে সোনার দেশটাকে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি।

এই দেশ ও দেশের জনগনের জন্য আমার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেকে উজার করে দিয়ে কাজ করে গিয়েছেন,আমি সেই পিতার কন্যা হিসাবে পিতার আদর্শেকে আঁকড়ে ধরে
দেশ ও জনগনের কাজ করে চলছি।

আওয়ামী লীগ সরকার সর্বদা দেশ ও জাতিকে নিয়ে কাজ করেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে আজ আপনাদের মাঝে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উপহার দিয়ে গেলাম। আগামীতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনবেন এটাই আপনাদের কাছে আমার আহ্বান। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জনসভা মঞ্চে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। আজ সেই পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল চালু করে দিলাম।

আজকে সারাবিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আজ সারাবিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।এটি করতে পেরেছি কারণ বাংলাদেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবায় রাখতে পারবা না। তো সেই বাংলাদেশের মানুষকে আর কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নৌকা পদ্মা সেতু, রেল সেতৃ করে দিয়েছে, রাস্তাঘাটের উন্নতি করেছে। নৌকা আপনাদের কলেজ, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় দিচ্ছে। নৌকাই এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনে। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ যাতে আপনাদের সেবা করতে পারে, আপনাদের কাছে আমার সেই আবেদন থাকলো। অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক চক্রান্ত; কিন্তু আমার ভরসা একমাত্র বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা আছেন, তারা অস্ত্র নিয়ে ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামাতের সমালোচনা করে বলেন, ওই বিএনপি যে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে, দুর্নীতি করে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে ভেগেছে, অর্থ আত্মসাৎ করেছে, অস্ত্র চোরা কারবারি। এই হলো বিএনপির নেতা। আর জামাতে ইসলামী হচ্ছে যুদ্ধ অপরাধী। এরা দেশকে ধ্বংস করে দিবে। আর এদের ধ্বংসের হাত থেকে দেশকে রক্ষায় নৌকা মার্কাই আপনাদের সবরকমের সহযোগিতা দেবে।

কোরআনের সুরা কাফেরুনের উদ্ধৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে আমরা তাকে সহযোগিতা করবো। বিএনপি ক্ষমতায় এসে কি করেছে? সকলের উপর অত্যাচার, খুনখারাবি। আওয়ামী লীগের একটি নেতাকর্মীকেও ছাড়েনি তারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এই দেশকে গড়তে চায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক।মন্দা কোভিড-১৯ এবং এই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, অনেক দেশে অর্থনৈতিক ঘাটতি। বাংলাদেশে এক ইঞ্চি জমি যেনো অনাবাদি না থাকে। আপনারা যা পারেন কিছু ফসল ফলান। যা পারেন উৎপাদন করেন। নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি কিন্তু নিজের সব জমি চাষ করা শুরু করে দিয়েছি। শুধ তাই না, গণভবনও এখন একটা খামার হয়ে গেছে। সেখানেও ধান, হলুদ, মরিচ, পেঁয়াজ যা যা পারি সব উৎপাদন করি, তরিতরকারি ফলমুল। কাজেই সবার উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে। বরং আমরা অনেক দেশকে সাহায্য করতে পারবো।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক খরচ হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানহীন থাকবে না। আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করে জ্ঞানবিজ্ঞানে বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে পৌছাতে থাকেন। একপর্যায়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে পুরো স্টেডিয়ামের মাঠ। জনতার ভীর উপচে পড়ে মাঠের বাইরে রাস্তাঘাটে।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি। পরে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ভাঙ্গা রেল জংশনে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে পৌঁছান সমাবেশস্থলে।

মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লবঃফরিদপুর।

আমার মুল শক্তি বাংলার জনগন” এদের ভালবাসা,দোয়া নিয়ে সোনার দেশটাকে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি।

এই দেশ ও দেশের জনগনের জন্য আমার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে নিজেকে উজার করে দিয়ে কাজ করে গিয়েছেন,আমি সেই পিতার কন্যা হিসাবে পিতার আদর্শেকে আঁকড়ে ধরে
দেশ ও জনগনের কাজ করে চলছি।

আওয়ামী লীগ সরকার সর্বদা দেশ ও জাতিকে নিয়ে কাজ করেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে আজ আপনাদের মাঝে পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল উপহার দিয়ে গেলাম। আগামীতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনবেন এটাই আপনাদের কাছে আমার আহ্বান। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জনসভা মঞ্চে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতু আমরা নির্মাণ করেছি। আজ সেই পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল চালু করে দিলাম।

আজকে সারাবিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। আজ সারাবিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল।এটি করতে পেরেছি কারণ বাংলাদেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবায় রাখতে পারবা না। তো সেই বাংলাদেশের মানুষকে আর কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা আপনাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নৌকা পদ্মা সেতু, রেল সেতৃ করে দিয়েছে, রাস্তাঘাটের উন্নতি করেছে। নৌকা আপনাদের কলেজ, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয় দিচ্ছে। নৌকাই এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনে। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ যাতে আপনাদের সেবা করতে পারে, আপনাদের কাছে আমার সেই আবেদন থাকলো। অনেক ষড়যন্ত্র, অনেক চক্রান্ত; কিন্তু আমার ভরসা একমাত্র বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা আছেন, তারা অস্ত্র নিয়ে ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামাতের সমালোচনা করে বলেন, ওই বিএনপি যে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে, দুর্নীতি করে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে ভেগেছে, অর্থ আত্মসাৎ করেছে, অস্ত্র চোরা কারবারি। এই হলো বিএনপির নেতা। আর জামাতে ইসলামী হচ্ছে যুদ্ধ অপরাধী। এরা দেশকে ধ্বংস করে দিবে। আর এদের ধ্বংসের হাত থেকে দেশকে রক্ষায় নৌকা মার্কাই আপনাদের সবরকমের সহযোগিতা দেবে।

কোরআনের সুরা কাফেরুনের উদ্ধৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে আমরা তাকে সহযোগিতা করবো। বিএনপি ক্ষমতায় এসে কি করেছে? সকলের উপর অত্যাচার, খুনখারাবি। আওয়ামী লীগের একটি নেতাকর্মীকেও ছাড়েনি তারা। কিন্তু আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এই দেশকে গড়তে চায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক।মন্দা কোভিড-১৯ এবং এই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, অনেক দেশে অর্থনৈতিক ঘাটতি। বাংলাদেশে এক ইঞ্চি জমি যেনো অনাবাদি না থাকে। আপনারা যা পারেন কিছু ফসল ফলান। যা পারেন উৎপাদন করেন। নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি কিন্তু নিজের সব জমি চাষ করা শুরু করে দিয়েছি। শুধ তাই না, গণভবনও এখন একটা খামার হয়ে গেছে। সেখানেও ধান, হলুদ, মরিচ, পেঁয়াজ যা যা পারি সব উৎপাদন করি, তরিতরকারি ফলমুল। কাজেই সবার উৎপাদন বাড়াতে হবে। উৎপাদন বাড়িয়ে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে। বরং আমরা অনেক দেশকে সাহায্য করতে পারবো।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে অনেক খরচ হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, ঠিকানহীন থাকবে না। আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করে জ্ঞানবিজ্ঞানে বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের সভাপতিত্বে জনসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা জনসভাস্থলে পৌছাতে থাকেন। একপর্যায়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে পুরো স্টেডিয়ামের মাঠ। জনতার ভীর উপচে পড়ে মাঠের বাইরে রাস্তাঘাটে।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করেন তিনি। পরে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ভাঙ্গা রেল জংশনে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে পৌঁছান সমাবেশস্থলে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!