ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুলী ইউনিয়নের চকমতি গ্রামে শুক্রবার পারিবারিক জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে মারামারির ঘটনায় মহিলা সহ ৪জন গুরুতর আহত হয়েছে।
আহতদের কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নান্দাইল মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার সূত্রে জানাগেছে, চকমতি গ্রামের পিতামৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মো. রিপন মিয়ার সাথে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামের পুত্র মো. খলিল মিয়ার সাথে .৫০ শতক ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার ঘটনার দিন বিবাদী পক্ষ জমির দখল নিতে এলে কাউছার মিয়া, সুবর্না আক্তার, নাজমা আক্তার ও শামছুন্নাহার তাদের বাধা দিলে বিবাদীরা নিমর্মভাবে পিটিয়ে এবং ধারালো দা, লাঠি, বল্লম সহ অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক আহত করে। এছাড়া মহিলাদের শ্লীলতাহানী সহ গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় রিপন মিয়া, ইন্নছ আলী, ইউসুফ, হান্নান, সাইফুল ইসলাম সহ ৯জনের নাম উল্লেখ পূর্বক একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৬/২০২২ ধারা ৩২৬ সহ অন্যান্য ধারা রয়েছে। মামলা দায়ের করার পর ১নং আসামী খলিল, ২নং আসামী মুরাদ ব্যতিত অন্য ৭জন আসামী বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীকে মামলা তুলে আনার জন্য খুন করার হুমকী সহ বাড়ী ঘরে আগুন লাগিয়ে দেবার প্রকাশ্যে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। মূল ২ আসামী এখনও কোর্টে হাজির না হয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে বলে মামলার বাদী অভিযোগ করেন। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, উক্ত মারামারির ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। পলাতক ২ আসামীকে গ্রেফতার করার চেষ্ঠা অব্যাহত আছে। মামলার তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক মো. রুবেল মিয়া জানান, উক্ত মামলায় সকল আসামীদের নামে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট প্রদান করা হবে। পলাতক ২ আসামীকে গ্রেফতার করার চেষ্ঠা চলছে। মুশুলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইফতেখার উদ্দিন ভূইঁয়া বিল্পব জানান, উক্ত জমিজমা নিয়ে বিরোধের ঘটনায় কয়েকবার শালিশ দরবারের আয়োজন করা হলেও আসামী পক্ষ স্থানীয় শালিশ দরবার মানেন না।