রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার হামলার শিকার হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।উপজে’লা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও টাকা চাওয়ার অপরাধে তাকে মারধর করার অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মোঃ বাচ্চু মোল্লা শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তার টাকা ফেরত পেতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান। উপজেলার পূর্ব উজানচর নতুন ব্রিজসংলগ্ন বাজারে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বাচ্চু মোল্লা উজানচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।এর আগে ২৬ আগস্ট এ বিষয়ে তিনি গোয়ালন্দ ঘাট থা’নায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার সঙ্গে আমার দেখা হয়। এ সময় আমি তার কাছে পাওনা টাকার কথা বললে তিনি আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মা’রতে থাকেন। এতে আমা’র নাকমুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে যান।এ সময় মোহাম্মদ আলী আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, আর কখনো টাকার কথা বললে খুন করে ফেলব।
সংবাদ সম্মেলনে বাচ্চু মোল্লা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি পেশায় একজন পোলট্রি খামারি। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ২০ মাস আগে মোহাম্ম’দ আলী মোল্লা বালুর ব্যবসার কথা বলে আমার কাছে ১ লাখ টাকা ধার চান। সরল বিশ্বাসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নুরুল ইসলাম মণ্ডলের মধ্যস্থতায় মোহাম্মদ আলীকে ১ লাখ টাকা প্রদান করি।
কিন্তু শর্ত ছিল তিনি ব্যবসায় লাভের একটা অংশ তাকে নিয়মিত প্রদান করবেন। কিন্তু বহুবার সময় নিয়েও তিনি আমাকে একটি টাকাও দেননি।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, বাচ্চু মোল্লা নামের কোনো স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে তিনি চেনেন না। কোনোদিন দেখা বা কথাও হয়নি।
টাকা-পয়সা লেনদেনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ওই ছেলেই তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।