চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে ধাওয়া পাল্টায় রণক্ষেত্র
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টোরাগড় ৭ ও ৮নং ওয়ার্ড থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা হাজীগঞ্জ বাজারস্থ ৬নং ওয়ার্ড টোরাগড় সর্দার বাড়ি এলাকার নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তা হাজীগঞ্জ বাজারে ছড়িয়ে পড়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বন্ধ হয়ে যায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সকল গাড়ি চলাচল, হাজার হাজার মানুষ বাজারের বিভিন্ন মার্কেট ও হাসপাতালে আটকা পড়ে।
রাত প্রায় ১০টার সময় চাঁদপুর থেকে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুর রকিব এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টোরাগড় ও মকিমাবদ সর্দার বাড়ির বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে প্রথম দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় বিএনপি নেতা আকতার হোসেন, তার ছেলে ও যুবলদল নেতা বাবু গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এ বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার হাজীগঞ্জ থানায় বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। ফলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আবারও ২ গ্রুপে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ গভীর রাত অবধি ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বিএনপি’র দুপক্ষের মারামারির পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে কেউ নিহত হয়েছে এমন কোন তথ্য পাইনি।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ইউএনও তাপস শীল বলেন, আমরা নিহতের কোন তথ্য পাইনি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার