জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় হতভাগা শিক্ষার্থী ইমন হাসান সবার চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায়। এছাড়া সে জিপিও-৫ গোল্ডেন পেয়েছে। তার এমন সফলতায় স্কুলের শিক্ষক/শিক্ষার্থী, পরিবার ও এলাকাবাসি বেশ আনন্দিত। ৪ বছর বয়সে মা ইমনকে রেখে বাবার বাড়ি চলে গেলে বাবা সাইফুল ইসলাম সজীব অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন। প্রথম কয়েক বছর দাদি-চাচির লালন-পালন ও শাসনে বড় হতে থাকলেও পরে সৎ মায়ের দেখভালেই ইমন পড়ালেখা ও বেড়ে ওঠে। ইমনদের জমি-জমা তেমন না থাকায় সংসার চালানোর জন্য তার বাবা ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরী করেন। ইমন বলেন, পৃথিবীতে সৎ মা বলে একটা শব্দ আছে কিন্ত আমি তা কখনো বিশ্বাস করি না। কারন আমার এ মায়ের আরো ২’ছেলে আছে সেহেতু আমরা ৩’ভাই। আমরা যে একে-অপরে সৎ ভাই ও আমি সৎ ছেলে মা কখনো এমনটি বুঝতে দেয়নি বা আপন-পর ভাবেনি। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুর গ্রামে প্রতিভাবান এমন ছেলে ইমনের জন্ম। সে উচাই জেরকা আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ হতে উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ ১,২৩৮ নম্বর পেয়েছে। ইমন পড়ালেখা শেষ করে প্রথমে একজন ভালো মানুষ হতে চায়। ঢাকায় বাবা অল্প বেতনের চাকরী করেন আমার এমন খুশির দিনেও তিনি চাকরী হারানোর ভয়ে আসতে পারল না। বাবা-মায়ের সংসারের অভাবের বোঝা বহন করতে আমি প্রকৌশলী হতে চায়। উচাই জেরকা সিং আদিবাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, ইমন হাসান পড়ালেখায় খুব মেধাবী ও শান্ত প্রকৃতির ছেলে।