দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন ৬ জন। এদের মধ্যে ১ জনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় মনোনয়ন প্রার্থী ও তাদের অনুসারী ও নেতাকর্মীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থন ও সাধারণ মানুষের সাথে আলাপে জানা যায়, এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এই আসনে ২০০৮ সাল থেকে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর টানা ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে কচুয়াতে ব্যাপক উন্নয়ন করেন । ফলে সমগ্র কচুয়ার জনগনের কাছে তিনি আধুনিক কচুয়ার রূপকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি কচুয়ায় একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করে পৌরবাসীর জন্য গ্যাস সংযোগ করে দিয়েছেন। কচুয়ার ২শত ৪৩টি গ্রামের আনাছে কানাছে পাকা সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ করে উপজেলার সাথে চলাচলের সু-ব্যবস্থা করেছেন। আজকের কচুয়ায় সকল উন্নয়ন ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপির মাধ্যমেই হয়েছে। সাধারন জনগনের প্রত্যাশা এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে কচুয়াকে স্মার্ট কচুয়ায় রূপান্তরিত করবেন।
তিনি দলের দু:সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য,উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর জনতার মঞ্চের মাধ্যমে ৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার পেছনে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা ছিল এবং ওই সময়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে তিনি সক্রিয় হন। তাছাড়া তিনি ৯৬ সালে পরিকল্পনা, বিমান ও পর্যটন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের আরো যারা মনোনয়ন চেয়েছেন তারা হলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের যৌথ মনোনয়ন প্রাপ্ত মো. গোলাম হোসেন, কেন্দ্রীয় পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন শিবলু, জাপান আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুল আউয়ালের মেয়ে অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস, লন্ডন প্রবাসী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন টিটু। এইদিকে ৩শত সংসদীয় আসনে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করেত আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা ডাকা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দিকে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবারে জানা যাবে কচুয়া আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন ? সেই প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে কচুয়াবাসী।
কচুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ আসনে ১০৯ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৭ শত ৬৯জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৩শত ৩১ জন , মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪শত ২৭ জন।
ছবি: ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি ফাইল ফটো।