মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বোয়ালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা আক্তার ও তাঁর কলেজপড়ুয়া মেয়েকে (১৭) মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা ১১টায় তিনি পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বোয়ালিয়া এলাকার তিনজনে বিরুদ্ধে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষিকা ও তাঁর মেয়ে বোয়ালিয়া বাজারে জনসম্মৃখে মারধরের শিকার হন।
ফাতেমা আক্তারের বাড়ি বোয়ালিয়া এলাকায়। তাঁর মেয়ে স্থানীয় একটি কলেজে পড়ে। অভিযুক্ত মো. শিপন (১৯), মো.শাকিল (১৮) ও মো. রাকিবের (১৯) বাড়িও বোয়ালিয়া এলাকায়।
মতলব দক্ষিন থানায় করা অভিযোগপত্রে ফাতেমা আক্তার উল্লেখ করেন, গতকাল বুধবার তাঁর ওই কলেজপড়ুয়া মেয়ে ব্যক্তিগত কাজে বোয়ালিয়া বাজার এলাকার একটি কম্পিউটারের দোকানে যায়। দোকানটি বন্ধ থাকায় সময় কাটানোর জন্য সে বোয়ালিয়া বাজারে অবস্থিত তাঁদের (ফাতেমা) ভাড়া দেওয়া বাড়িতে অপেক্ষা করছিল ওই বাড়ির ভারাটিয়া বাংংলালিংক কোম্পানির গাড়িচালক মো.আলমাছ (৫০) ভাড়া থাকেন। বাড়িটিতে সে সময় ভাড়াটিয়া মো. আলমাছ না থাকায় তাঁর মেয়ে বাড়ির সিঁড়িতে বসে সময় পার করে। কিছুক্ষণ পর আলমাছ সেখানে ফিরে আসেন এবং তাঁর মেয়েকে ভেতরে এসে বসতে বলেন। এই ফাঁকে বোয়ালিয়া এলাকার আঃ জলিলের ছেলে মো. শিপন, খালেক বেপারীর ছেলে মো. শাকিল ও আবুল বাসারের ছেলে মো. রাকিব বাড়িটির সামনে আসেন। তাঁরা ওই গাড়িচালকের সঙ্গে তাঁর মেয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার মিথ্যা অভিযোগ এনে আশপাশের লোকজনকে সেখানে জড়ো করেন ।
ফাতেমা আক্তার আরও অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ের কাছ থেকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে পেরে আমি ঘটনাস্থলে যাই । এ সময় ওই তিনজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে গালমন্দ ও মারধর করেন তাঁরা। এ সময় তাঁদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ওই তিনজন পালিয়ে যান। হামলায় তিনি ও তাঁর মেয়ে আহত হয়ে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানালে থানা-পুলিশের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে যান এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
ফাতেমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তাঁকে ও তাঁর মেয়েকে সামাজিকভাবে হেনস্তা ও নাজেহাল করার জন্যই এ নীলনকশা সাজিয়েছেন তারা । তাঁদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান ওরা যদি খারাপ কাজ করে থাকে তাহলে তাদের আইনের হাতে তুলে না দিয়ে তারা কেন নিজেরাই বিচার করতে গেল ।
এ বিষয়ে শিপন বলেন আমরা ওই মেয়েকে আলমাছ নামে এক ব্যাক্তির সাথে একই রুমে দেখতে পাই । গেইট খুলতে বলায় সে আমাদেরকে গালমন্দ করেন এবং ঘরে থাকা জিআই পাইব দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি রক্তাক্ত যখম হই। খবর পেয়ে আমার মা ও বোন এসে প্রতিবাদ করলে আমার মাকেও জিআই পাইব দিয়ে আঘাত করে । পরে স্থানিয়রা আহত দুজনকে মতলব দক্ষিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান ।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।