যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মশ্বিমনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার নিয়মনীতি উপেক্ষা করে কমিটি বানানোর চেষ্টায় এক অভিভাবক সদস্য নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলার বিবরণে জানা যায়- অত্র মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য প্রার্থী আব্দুস সালাম যশোর আদালতে মামলা দায়ের করেন যে সভাপতি ও সুপার মিলে গোপনে মৃত্যু ব্যক্তি ও স্বামী-স্ত্রীকে ভোটার তালিকা বানিয়ে গোপনে রাখে। এদিকে সুপার ও সভাপতি যোগ সাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অত্র মাদ্রাসার প্রিজাইডিং অফিসার বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস হাজরাকাটি আহম্মাদীয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেন। ১৭ মে মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমাদান ২২ মে যাচাই বাছাই ২৪ মে প্রত্যাহার ও ৪ জুন ভোটগ্রহণের দিন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পরপরই মাইকিং ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়ার কথা থাকলেও সুপার সেটা গোপন রাখেন। এদিকে মামলার বাদী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে ১৭ মে তারিখে মনোনয়নপত্র ক্রয় করে জমা দেন সেখান থেকে ভোটার তালিকা হাতে পেয়ে জানতে পারেন যে অনেক ভূয়া ভোটার হয়েছে এর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ১০৪ নং আবুল হাসান ফকির নামের ব্যাক্তি ভোটার ২৮/১/১৩ তারিখে মৃত্যু বরণ করেন অথচ তিনি ভোটার ৪৫ নম্বর ৫০ নম্বর ভোটার পরস্পর স্বামী-স্ত্রী যা আইন বহির্ভূত বলে জানা যায়। এদিকে এসকল তথ্যের ভিত্তিতে অবিভাবক সদস্য প্রার্থী আব্দুস সালাম জেলা প্রশাসক যশোর উপজেল নির্বাহী অফিসার উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর ও যশোর আদালতে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেন ৪ জুন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পুনরায় ভোটার তালিকা সংশোধন করে নির্বাচন দেয়ার জন্য যার নাম্বর ২২৭/২২। এ ঘটনার বিষয় হাজরাকাটি আহমদিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সামাদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।