আবারও কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত মণ আম ঝরে পড়েছে কেনার কেউ নেই
জেলার সাপাহারের আম বাগান গুলোতে,আর সেই আম বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৩ টাকা কেজিতে।
গত কয়েকদিন আগে কালবৈশাখী ঝড়ে পড়ে যাওয়া আমের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো কালবৈশাখীর হানায় আম ঝরে যাওয়ায় চরম হতাশায় পড়েছেন স্থানীয় আমচাষিরা।
সরেজমিনে শুক্রবার (২০ মে) সাপাহারের আমবাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়। ঝরে পড়া আম কেনার ধুম পড়েছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি আম কিনছেন ২ থেকে ৩ টাকা কেজি দরে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত আমচাষিরা বলছেন, ঝড়ের কবলে বাগানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ আম ঝরে গেছে। ল্যাংড়া, নাক ফজলী, আম্রপলী, বারি-৪ সহ বিভিন্ন জাতের আম ঝরে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। তবে ল্যাংড়া ও নাক ফজলী জাতের আম বেশি ঝরেছে।
সাহাপাড়া গ্রামের আমচাষি তরুণ সাহা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘২০ বিঘা বাগানে প্রায় ১৫ মণ আম ঝরে গেছে। যা বাজারে বিক্রি করতে এসে মাত্র ২-৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, গত রাতের কালবৈশাখীর তান্ডব আমের উপর প্রভাব ফেলেছে। যাতে করে এ বছরে আম বাজারের গতি অনেকটা পাল্টে যেতে পারে বলে জানান তিনি।
আমচাষি সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমার প্রায় ১শ মণ আম ঝরে গেছে। শ্রমিক লাগিয়ে আম কুড়িয়ে বাজারে এনে বিক্রয় করতে হচ্ছে ২-৩ টাকা কেজি। যাতে করে শ্রমিকের মজুরি ও গাড়ি ভাড়াও ওঠছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই এলাকার সুনাম সারাদেশেই রয়েছে। তবে যদি আম সংরক্ষণাগার বা কোন জুস কোম্পানি থাকতো তাহলে কাঁচা আম বিক্রয়ে এতোটা লোকসান বহন করতে হতো না আম চাষিদের।’
উমইল গ্রামের আম ব্যবসায়ী মকছেদুল হক ‘৮০ থেকে ১২০ টাকা মণ আম কিনছি। আমরা এসব আম আঁচার কোম্পানিতে বিক্রি করবো। সেক্ষেত্রে হয়তো প্রতিমণ আমে ২০-২৫ টাকা লাভ হতে পারে।’
সাপাহার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গতকাল কালবৈশাখীর কবলে পুরো উপজেলায় ২ শতাংশ আম ঝরেছে। যার মধ্যে ল্যাংড়া ও নাকফজলী বেশি ঝরেছে।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন জানান, সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরের জরিপ অনুযায়ী পুরো উপজেলায় মোট ২ শতাংশ আম ঝরেছে। তবে ২-৩ টাকা কেজি দরে কাঁচা আম বিক্রয় হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।