সাথী হিমাগার কৃর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও সঠিক তদারকির অভাবে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার চাঁনপাড়া-নিশ্চিন্তা সড়কের চাঁনপাড়া থেকে শিরট্রী পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে দীর্ঘ যানজটের কারনে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শ্রমিক, রিকশা-ভ্যান গাড়ী চালকসহ পরিবহনের যাত্রী চালকের। সড়কে দীর্ঘ যানজটের কারণে যাত্রী নেমে দিয়ে বেকার সময় পার করছেন চাঁনপাড়া সিএনজি স্টেশনের অর্ধশতাধিক সিএনজির চালকেরা। যাত্রী নেমে দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সড়কে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও হিমাগারে ভিতরে আলু বোঝায় পরিবহনগুলো খালাস না হওয়াই সড়কে যানজট নিরসন হচ্ছেনা। সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত সড়কে দীর্ঘ যানজট, হট্রগোল থাকলেও পর পুলিশ এসে সড়কে যানজটের বিষয়টি নিরসন করে যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখেন।
সোমবার (৪ মার্চ) সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, পাঁচবিবিসহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত ভটভটি, অটোভ্যান ও ট্রাক্টরে বোঝায় করে হাজার হাজার বস্তা আলু চাঁনপাড়া সাথী হিমাগারে রাখছেন এলাকার কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সাথী হিমাগারের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিবহন পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় দুর দুরান্ত থেকে আসা শত শত আলু বোঝায় পরিবহন দাঁড়াচ্ছে চাঁনপাড়া-নিশ্চিন্তা সড়কে। মুহূর্তে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটে। ভোগান্তিতে পড়ছেন সব ধরেনের পরিবহনের পাশাপাশি জনসাধারণ। তবে, পরিবহন ও জন সাধারণের ভোগান্তির কোন মূল্য নেই হিমাগার কর্তৃপক্ষের কাছে।
চাঁনপাড়া সিএনজি স্ট্যান্টের চেইন মাষ্টার আজিজার রহমান বলেন, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছেন চাঁনপাড়ার সাথী হিমাগার কর্তৃপক্ষ কিন্তু সড়কে যানজট নিরসনে তাদের কোন ভূমিকা নেই। প্রতিদিন চাঁনপাড়া থেকে নিশ্চিন্তা ও জয়পুরহাটে যাত্রী নিয়ে প্রায় ৮০টি সিএনজি দিনে তিন থেকে চারবার যাতায়াত করে যা উপার্জন করে তা দিয়ে সংসার চালান। কিন্তু হিমাগারের কারনে সড়ক যানজট সৃষ্টি হয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে কোন সিএনজি যেতে পারেনি। তাহলে এর ক্ষতিপুরুন দিবে কে?
লয়াপাড়া এলাকার মাইক্রোবাসের চালক আরিফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ সময় যানজটের কারণে সড়কে আটকে আছি। আমি এই এলাকার এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সেন্টারে নিয়ে যাওয়া আসা করি। কিন্তু সাথী হিমাগারের কারনে রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া দীর্ঘ যানজটের কারনে মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হয়। হিমাগার কর্তৃপক্ষ তাদের লোক দিয়ে সড়কে যানজট নিরসনের ব্যবস্থা করলে এই সমস্যা আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা।
সাথী হিমাগার লিমিটেডের শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমার হিমাগারে অবব্যস্থাপনা নেই। গত বছর কৃষকেরা এই হিমাগারে আলু রেখে সুফল পাওয়ায় কৃষকেরা এবছর এক সঙ্গে আলু রাখতে আসায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, পুলিশ পাঠানো হয়েছে। চাঁনপাড়া এলাকায় সড়কের যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা সুলতানা বলেন, হিমাগারের কারনে সড়কে যানজটের বিষয়টি তার জানা নেই। এবিষয়ে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।