প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও নৌকায় মার্কায় ভোট চেয়েছেন।
তিনি বলেন,আপনাদেরকেপদ্নাসেতু, রেল উপহার দিয়েছি।একমাত্র নৌকায় ভোট দিলেই উন্নয়ন সম্ভব।মঙ্গল বার ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টারদিকে ভাঙ্গার আবু ইউছুপ স্টেডিয়ামে ফরিদপুরে জেলা আওয়ামীলীগের জনসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কখনো কোনোদিকে তাকায়নি। আমি তাকিয়েছি এ দেশের মানুষের দিকে। কারণ আওয়ামী লীগ দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করে। পদ্মা সেতু করে দিয়েছিলাম, আজ রেল চালু করে দিয়ে গেলাম। আপনাদেরকে পদ্মাসেতু, রেল উপহার দিয়েছি। একমাত্র নৌকায় ভোট দিলেই উন্নয়ন সম্ভব।
তিনি বলেন, ফরিদপুর পুরনো শহর, কিন্তু সবসময় অবহেলিত ছিল। আমরা সরকারে এসে উন্নয়ন করেছি। ফরিদপুরের মেডিকেল কলেজকে সম্প্রসারিত ও সেবার আধুনিকায়ন আমরাই করেছি। আমি জানি, ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ইনশাআল্লাহ, আবার সরকারে এলে সেটা করে দেবো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা-মা, ভাই-বোন কেউ নেই। আছে শুধু বাংলাদেশের জনগণ। তাদের জন্যই আমার কাজ। জিয়া-এরশাদ-খালেদা লুটপাট আর দুর্নীতিতে মত্ত ছিল। তাদের সময়ে কেউ ভোট দিতে পারেনি। লুট করেছে তারা। আমরা সরকারে এসে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিক, স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট করে দিয়েছি।
এর আগে বেলা ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। যাত্রী হিসেবে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা ও নাতি-নাতনিরা।
উদ্বোধনের পর কাউন্টার থেকে টিকিট কাটেন শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী নিজেই হুইসেল (বাঁশি) বাজান এবং সংকেত দেন ট্রেন ছাড়ার। আর মাওয়া প্রান্ত থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ট্রেনও ছুটে চলে।
বিকাল ৪টায় ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সাড়ে ৫টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাতে টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে থাকবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।