প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন দল। দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দেশের মানুষকে শোষণ-বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষ্য নিয়ে। আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছে। বিএনপিসহ মিলিটারি ডিক্টেটরদের হাতে যেসব দল তৈরি হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কোনো গণতন্ত্রের চর্চা নেই।
দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে বলে বেড়ানোদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছেন, যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে পরিচয় দেন, জ্ঞানী-গুণী বলে পরিচয় দেন। তাদের মুখেও শুনি- দেশে নাকি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে মিলিটারি ডিক্টেটরদের সময় যারা মার্শাল ল’ দিয়ে রাষ্ট্র চালিয়েছিল, সেটাকেই কি তারা গণতন্ত্র বলতে চান? ওটাই কি তাদের গণতান্ত্রিক ধারা ছিল?
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, যাদের জন্ম হয়েছে অবৈধভাবে, ক্ষমতা দখল করে, মার্শাল ল’ এর মধ্যদিয়ে। তারা আবার আমাদের গণতন্ত্রের ছবক দেয়, পরামর্শ দেয়। তারা নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করবে। মার্শাল ল’ দিয়ে, সারারাত কারফিউ দিয়ে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, তারা দেশবাসীকে কীভাবে গণতন্ত্র দেয়, আর কিসের গণতন্ত্র দেয়, তা আমি বুঝি না।