বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে এ কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, শান্তি সহায়তা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ আজ বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। এটি আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা যে, বাংলাদেশ সর্বদা বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
সোমবার সকালে ‘৪৬তম ইন্দোপ্যাসিফিক আর্মিস ম্যানেজমেন্ট সেমিনার ২০২২’ (আইপিএএমএস) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি অনুষ্ঠাসেন যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ মিশনসহ বিশ্বের যে কোনো দেশে শান্তি রক্ষায় কাজ করতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো দেশের সেনাবাহিনী সেই দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার অন্যতম নিয়ামক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়াও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে নিরাপত্তা ও গতিশীলতা দিন দিন পরিবর্তিত হচ্ছে এবং জটিল হচ্ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যে কোনো সংঘাত বা সংকট বিশ্বের প্রতিটি জাতিকে প্রভাবিত করে। এটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলাদেশের’। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার স্বপ্ন পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫১তম বছরে পা দিয়েছে এবং গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্য ও শক্তি নিরাপত্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসে সাফল্য পেয়েছে।