বিরামপুর উপজেলার দিঘলচাঁদ গ্রামে খ্রীষ্ট ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর,
বাইবেল ও ক্রুশ অবমাননাকারীদের শাস্তির দাবিতে রবিবার (১১ সেপ্টে:) বিরামপুর
প্রেসক্লাব মোড়ে মহাসড়কের পাশে খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের লোকজন মানববন্ধন করেছে।
দুপুর ১২টায় ঐ এলাকার নারী-পুরুষদের নিয়ে মানববন্ধনে দিঘলচাঁদ
ইউনাইটেড বেথানী চার্চের সভাপতি ও পালক ইলিয়াস সরেন বলেন, ২০০৬ সালে
দিঘলচাঁদ গ্রামের মুচিয়া মার্ডি ও তার ছেলেরা খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণের আবেদন করে।
সেই মোতাবেক ২০০৬ সালের ৩০ জুন তারা খ্রীষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হন। মুচিয়া
মার্ডি গ্রামে গির্জা নির্মানের জন্য ৩৩ শতক জমি দান করেন। ২০১৪ সালে
মুচিয়া মার্ডি মারা গেলে তার ছেলেরা জমি দখলের চেষ্টা করে।
চলতি বছর ২১ এপ্রিল বিবাদিরা গির্জার দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং ১০ জুন ঘরের টিন ও
আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এসময় তারা বাইবেল অবমাননা ও ক্রুশ ভাংচুর করে। এঘটনায়
মুচিয়া মার্ডির ছেলে বিষান মার্ডিসসহ ১১জনকে আসামী করে গির্জার
সেক্রেটারী জোহান হাঁসদা ২০ জুলাই আদালতে মামলা করেছে।
তিনি ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে খ্রীষ্ট ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর, বাইবেল ও ক্রুশ অবমাননাকারী
প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এসময় একই দাবিতে আরো বক্তব্য
রাখেন, পারগানা কেরোবিন হেমরম, আলেকসিউস হেমরম প্রমূখ। এতে গির্জার
সেক্রেটারী জোহন হাঁসদাসহ এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ অংশ গ্রহণ করেন।