শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
শ্রীনগরে তন্তরে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ-চায়না ক্লাব রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার।
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

বিনা চিকিৎসায় মাকে হারিয়ে,না খেয়ে দিন কাটছে চার শিশুর-দৈনিক বাংলার অধিকার

ডেক্স রিপোর্ট ঃ / ১৪৪ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:৪০ অপরাহ্ণ

৬ থেকে ৭ বছর বয়সের একটি মেয়ে থালা-বাসন ধুয়ে ঘরের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। তার পেছন পেছন ঘরে ঢুকতে চোখে পড়ল আরও হৃদয়বিদারক এক দৃশ্যের।

তিন বছর বয়সী সকাল, বড় বোনের ধুয়ে আনা থালা নিয়ে ভাত বাড়ছে। ভাত নিয়ে এসে তরকারি দেও বলে অনেকটা চিৎকার করছে শিশুটি। এসময় বড় ভাই ১১ বছর বয়সী সজল তরকারির একটি বাসন নিয়ে এগিয়ে আসে।

খেতে বসে শিশু সকাল ছোট বোন ১১ মাস বয়সী সুমির মুখে তুলে দিচ্ছে খাবার। ছোট ছোট প্রত্যেকটি ঘটনা একটি নির্দিষ্ট পরিবারের।

এদিকে মাস দেড়েক আগে চার ভাই-বোন তাদের মাকে হারিয়েছে। সেই থেকে প্রতিদিন অনেকটা এমন দিন কাটে তাদের। এই দৃশ্য দেখা যায় বাগেরহাটের চিতলমা রী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম রুইয়ার কুলে। এ বিষয়ে বাবা সুদাষ ব্রক্ষ্মা জানান, এক বছর আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন স্ত্রী’ ঝর্ণা বিশ্বা’স। দিনমজুর সুদাষের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। তাই খুব একটা চিকিৎসা করাতে পারেননি স্ত্রী’র। দেড়মাস আগে অনেকটা বিনা চিকিৎসায় মা’রা যান ঝর্ণা। মূলত এরপরেই দূর্বিষহ জীবন শুরু হয় সুদাষ ও তার চার সন্তানের।
সুদাষ ব্রক্ষ্মা বলেন, আমা’র তেমন কোনো সহায় সম্পত্তি নেই। কোনো রকম দিনমজুরি করে চলি। স্ত্রী’ মা’রা যাওয়ার পরে চার সন্তানকে নিয়ে খুব শোচনীয় অবস্থায় আছি। না পারছি কাজে যেতে, না পারছি বাচ্চাদের খাবার দিতে। দুই ছে’লে-মে’য়ে স্কুলে যেত, তাও বন্ধ হয়ে গেছে।

এ সময় ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া সজল জানায়, আগে স্কুলে যেতাম। মা মা’রা যাওয়ার পর থেকে আর স্কুলে যাই না। আমি নিজেই ভাত তরকারি রান্না করি। কোনোদিন না খেয়েও থাকতে হয়। কি করব, আর তো কোনো উপায় নেই। স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বর্ণালী ব্রক্ষ্মা আস্তে আস্তে বলতে থাকে, স্কুলে যেতে ইচ্ছা করলেও পারি না। ভাই বোনদের সঙ্গে থাকি। আর থালা-বাসন ধুয়ে রাখি।
প্রতিবেশী পুতুল বিশ্বা’স বলেন, মা হা’রানোর পর থেকেই খুব করুণ অবস্থা তাদের। ঘরে খাবার নেই, টাকা-পয়সাও নেই। আম’রা কোনোরকম সাহায্যে করি। এছাড়া বাড়ির চারপাশেই পানি, কখন কি ঘটে। তাই সুদাষ দা মাঝে মাঝে ওদের আ’ট’কে রেখে কাজে যায়। এভাবেই কাটছে তাদের দিন। স্থানীয় মনিমোহন ব্রক্ষ্মা বলেন, তিন শতক জায়গার ওপরে ভাঙাচো’রা ঘর সুদাষের। আয়ের বিকল্প কোনো পথও নেই। এই অবস্থায় ওদের সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার খুব দরকার। এছাড়া শি’শুদের ভবিষ্যত নিয়েও সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

এ বিষয়ে চিতলমা’রী উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, খবর পেয়ে ইতোমধ্যে উপজে’লা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারটিরকে খাদ্য সহায়তা এবং শি’শুদের জন্য দুধ কিনে দেওয়া হয়েছে। আম’রা তাদের একটি ভিজিডি কার্ড করে দেব। এছাড়া আমি ওই এলাকায় গিয়ে সরকারি সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়দেরও পরিবারটির পাশের দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছি।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!