চাঁদপুর শহরের ষ্ট্যান্ড রোডে বিলেত ফেরত লম্পট স্বামীর শারিরিক নির্যাতন ও বিকৃত যৌনাচারে শিকার হয়ে স্ত্রী হাসপাতালে ছটফট করছে।
৪ আগষ্ট’২২ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার দুপুরে এব্যপারে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লম্পট স্বামী ইউনুস পাটোয়ারী (৪২), পিতা-মৃত শাহজাহান খলিফা, বর্তমান ঠিকানা ৬নং ওয়ার্ড, চাঁদপুর পৌরসভা, চাঁদপুর সদর চাঁদপুর, স্থায়ী ঠিকানা, বুলারচর , ঠাকুর, টোরা মুন্সিরহাট, ফরিদগঞ্জ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন শাশুড়ি রহিমা বেগম।
লম্পট ইউনুস পাটোয়ারী বিরুদ্ধে শাশুড়ি রহিমা বেগমের অভিযোগে বলা হয়, গত ১২ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়াত মোতাবেক লম্পট ইউনুস পাটোয়ারীর সহিত আমার মেয়ের বিবাহ হয়। সাংসারিক জীবনে আমার মেয়ে ২জন পুত্র সন্তানের জননী। সংসার জীবনে স্বামীর সাথে বিভিন্ন বাক বিতন্ডা চলে আসছে। তার স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন যাপন করেন। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে আমার মেয়ে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করে।
সেখানে আমার মেয়ের ওপর লম্পট ইউনুস পাটোয়ারীর আপন ছোট ভাই সুমন পাটওয়ারী (৩৫), নানাবিধ অপবাদ দিয়ে মানসিক নির্যাতন করেন। এ নিয়ে বহুবার স্থানীয়ভাবে শালীশ বৈঠক হয়। আমার মেয়ের ওপর আর নির্যাতন হবে না মর্মে অঙ্গীকার করেন তারা। কিছুদিন গেলে আবারও শুরু হয় অত্যাচার। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে চাঁদপুর শহরে এসে ( ১নং বালিথুবা ইউনিয়ন পরিষদ ফরিদগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান বাবলুর মালিকানাধীন চাঁদপুর শহরের ষ্ট্যান্ড রোডের বাড়ির ৪র্থ তলার ফ্ল্যাটে) ভাড়া বাসায় অবস্থান করে। গত ৯ মাস আগে ওই লম্পট ইউনুস পাটোয়ারী প্রবাস জীবন ছেড়ে একেবারে দেশে চলে আসেন। দেশে এসে কোনো কাজকর্ম না করে সারাদিন বাসায় থাকে আর কথায় কথায় আমার মেয়েকে শারীরিক নির্যাতন করে। আমার মেয়ে বাধা দিলে তিনি আমার আমার মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন-সহ নগদ অর্থের যোগান দিতে বলে। এতে আমার মেয়ে অসম্মতি জানালে শুরু হয় তাহার উপর মারাত্মক শারীরিক নির্যাতন। এমনকি, ওই লম্পট ইউনুস পাটোয়ারী প্রতিনিয়ত আমার মেয়েকে বিকৃত যৌনাচারে বাধ্য করে। এতে আমার মেয়ে অসম্মতি জানালে তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।
০৩ আগষ্ট’ ২০২২ ইং অনুমান রাত ৯:০০ ঘটিকার সময় আমার মেয়েকে মারধর করে। এমনকি, অদ্য ০৪/০৮/২০২২ইং সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় ফের মারধর করে। মেয়ের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়। খবর পেয়ে আমার বড় মেয়ে মরিয়ম বেগম ও মেজো মেয়ের স্বামী হুমায়নসহ আমরা তাকে আনতে গেলে আমাদেরকে ও বাধা প্রদান করে লম্পট ইউনুসের ভাড়াটে লোকজন। আমার মেয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় বিধায় আমি বাঁধি হয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
এব্যপারে ভুক্তভোগীর বড় বোন মরিয়ম সাংবাদিকদের জানান, আমরা ছোট বোনকে অনেক কষ্ট উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে সে সদর হাসপাতালের ৪র্থ তলার (সার্জারি বিভাগ) মহিলা ওয়ার্ডের ৬নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এব্যাপারে ভুক্তভোগীর ছোট বোনের স্বামী হুমায়ুন জানান, আমরা বহু প্রচেষ্টার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। তিনি আরো বলেন আমার শালিকার স্বামী বলেন সে টিকটিক করার জন্য ব্যাপক যন্ত্রাংশ কিনে এনে আমার টাকা সব শেষ করছে। টিকিটের বিষয় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মাত্র ১৫ যাবত এসব শুরু করছে। বেশিদিন হয়নি।