ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের নিভিয়াঘাটা ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শূন্য পদ পুরনের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপে ব্যাপক অনিয়ম করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, আগামী ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের শূন্য পদ পুরনের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অধ্যক্ষ পদের জন্য যারা আবেদন করেছেন এর মাঝে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পানান ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার প্রভাষক মো. আবদুল জলিল ও পিতাম্মারপাড়া হোসাইনীয়া মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মোঃ খলিলুর রহমানের নামে ইন্টারভিউ কার্ড প্রদান করা হয়েছে। অথচ এই ২জনের অধ্যক্ষ পদে আবেদন করার মত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা নেই। বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮/ (২৩ নভেম্বর ২০২০) পর্যন্ত সংশোধিত নীতিমালা উপাধ্যক্ষ/মুহাদ্দিস/মুফাসসির/ফকিহ/আদিব/সহকারী অধ্যাপক পদে কমপক্ষে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা এবং প্রভাষক পদে আরবি বিষয় সমূহে কামিল/ফাযিল মাদ্রাসায় ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু আবেদনকারী আবদুল জলিল ও মোঃ খলিলুর রহমানের উল্লেখিত অভিজ্ঞতা নেই। পানান ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মো. আজিজুল ইসলাম উক্ত মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদের জন্য নানা ভাবে তদতীর ও লবিং চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে জানাগেছে জেনতেনভাবে একটি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য মাদ্রাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুর রহিম সকল আবেদনকারীর নামে ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করেছেন। এলাকার ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকবৃন্দ অধ্যক্ষ পদের জন্য সকল আবেদনকারীর যথাযথ যোগ্যতা আছে কিনা বিষয়টি জরুরী তদন্ত করার প্রয়োজন। একই সাথে ২৮ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রাখার জন্য মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তি জোরদাবী জানিয়েছেন।