চাঁদপুর সদরের ইউএনও সানজিদা শাহনাজ জেলেদের চাল আত্মসাতের ঘটনায় কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীকে জেল হাজতে পাঠানোর ব্যবস্থা করায় নানা মহলে চাঁদপুর সদরের ইউএনও সানজিদা শাহনাজ জেলেদের চাল আত্মসাতের ঘটনায় কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীকে জেল হাজতে পাঠানোর ব্যবস্থা করায় প্রশিংসিত হচ্ছেন।
২৪ জুলাই রোববার চেয়ারম্যান রনি পাটওয়ারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান।
এর আগে গত ১৮ মে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চাঁদপুর সদরের ইউএনও সানজিদা শাহনাজ বলেন, চাল না থাকার বিষয়টি জানার পর ইউনিয়নের দুটি গুদাম সিলাগালা করার নির্দেশ দেই। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী সম্পূর্ণ দায়ী। আমরা আপাতত চাল বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর এর পরপরই চাঁদপুর সদরের ইউএনও সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে চাল আত্মসাতের ঘটনায় চেয়ারম্যান রনির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।
এ বিষয়ে মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব বলেন, ৫৩ দশমিক ৬৮০ টন চাল আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন আমার মোয়াক্কেল চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী।
স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রনি জেলেদের বরাদ্দের অংশের চাল নির্দিষ্ট সময়ে না দিয়ে ৪৫ বস্তা চাল আত্মসাৎ করার বিষয়টি জানাজানি হলে ইউএনও সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে তখন ইউনিয়নের দুটি গুদাম সিলগালা করেছিলো চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রশাসন। ওই ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী।
এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজিত রায় চৌধুরী ‘হিলশা নিউজ‘-কে বলেন, মূলত জেলেদের জন্য বরাদ্দের চাল আত্মসাৎ করার মামলায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইতে গেলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর এই আদেশ দেন।।