দিলীপ কুমার দাস নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠক ও কণ্ঠশিল্পী হারুন উর রশিদ ও অপর্ণা সেন গুপ্তার একমাত্র সন্তান। পিতামাতা তাকে সংগীতের প্রতি উৎসাহিত করে তোলায় সাড়ে তিনবছর বয়সেই তার মাঝে গানের উদয় হয় এবং ময়মনসিংহের খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী সীমা জামানের নিকট তার হাতেখড়ি। পরবর্তীতে গৌরীপুর সংগীত নিকেতনের পরিচালক এম,এ হাই এর তত্বাবধানে ও সংগীত চর্চা করেন তিনি। ময়মনসিংহ জেলা শিশু একাডেমীতে সংগীত প্রশিক্ষণ শেষে সর্ব প্রথম একাডেমিক সনদ লাভের সুযোগ হয় তার। জেলা শিশু একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক আনিসুজ্জামানের নিকট ও তালিম নেন শুভ। সর্ব শেষ প্রশিক্ষণ নেন কবি নজরিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও নজরুল সংগীতের কণ্ঠশিল্পী আশিক সরকার তুষারের নিকট। ২০০৯ সালে চ্যানেল আই ক্ষুদে গানরাজ সংগীত প্রতিযোগিতায় সেরা ১৬ জনের মধ্যে স্থান লাভ করেন। সেই থেকে সংগীত পরিচালক ও খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী গীতিকার শেখরের গীত এবং সুরারোপিত ঐ বছরের ১লা বৈশাখ আনুষ্ঠানিকভাবে তার গানের প্রথম এ্যালবাম চাঁদের মতো রুপ এর ভিডিও সিডি প্রকাশিত হয়। এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী ডাঃ ক্যাঃ (অবঃ)মুজিবুর রহমান ফকির এম পি। এটি তার পিতামহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক (১৯৭০)গণপরিষদের সদস্য মরহুম হাতেম আলী মিয়ার নামে উৎসর্গ করা হয়। জাতীয় শিশু কিশোর ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন সহ জাতীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এ পর্যন্ত ২০০ এর অধিক সনদপত্র অর্জন করেন। ২০১১ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিক কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করে স্বর্ণ পদক লাভ করেন এবং এরই প্রেক্ষিতে গৌরীপুর সংগীত নিকেতনের প্রধান উপদেষ্টা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত ডাঃ ক্যাপ্টেন (অবঃ)মুজিবুর রহমান ফকির তাকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। অনিরুদ্ধ শুভ`র নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। তার অজানা কথা মিউজিক ভিডিওটি দর্শক হৃদয়ে নস্থান করে নিয়েছে ও গানটিতে ২ মিলিয়নেরও বেশি দর্শক ভিউ করেছেন এবং পাষানী কন্যা গানটিতে ১ মিলিয়ন দর্শকের ভালবাসা অর্জন করেছেন। দেশের খ্যাতনামা সংগীত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান পাম্মী মাল্টিমিডিয়া, সংগীতা,সিএমভি সহ ঈগল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে তার গান প্রকাশিত হয়েছে। হাজার বছরের ঐতিহ্য লালিত বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের নিকট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি আরশিয়ান নামে একটি ব্যান্ড সংগীতদল গঠন করেছেন। অবশেষে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন, অবিলম্বেই তার মনমাতানো গান মাতৃভূমি বাংলাদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যে স্থান পাবে।