পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ দেশের ৫২টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পাঁচ উপজেলার আরও ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করে তিনি এই ঘোষণা দেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, আমি পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলাকে এবং দুটি জে’লার সব উপজে’লাসহ সারাদেশের ৫২টি উপজে’লাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করছি।
ঢাকার নবাবগঞ্জ; মাদারীপুর সদর; শরীয়তপুরের ডামুড্যা; কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী; টাঙ্গাইলের গোপালপুর; মানিকগঞ্জের ঘিওর, সাটুরিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী।ফরিদপুরের নগরকান্দা; নেত্রকোণার ম’দন; ময়মনসিংহের ভালুকা, নান্দাইল, ফুলপুর, ফুলবাড়িয়া; জামালপুর বক্শীগঞ্জ।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ; ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী; নীলফামা’রীর ডিমলা; নওগাঁর রাণীনগর; জয়পুরহাটের পাঁচবিবি; রাজশাহীর মোহনপুর, চারঘাট, বাঘা; বগুড়ার নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া; নাটোরের বাগাতিপাড়া।
চট্টগ্রামের পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া; লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগঞ্জ; ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম; গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ; পঞ্চগড়ের আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ, তেঁতুলিয়া, বোদা।
পাবনার ঈশ্বরদী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শি’বগঞ্জ; ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু; সাতক্ষীরার তালা; মাগুরার শ্রীপুর, মোহম্ম’দপুর, শালিখা, মাগুরা সদর; ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া এবং পটুয়াখালীর দশমিনা।সরকার প্রধানের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস জানান, এর আগে তিন দফায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি ঘর পেয়েছেন গৃহহীনরা। বৃহস্পতিবার পেল আরও ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবার। এছাড়া আরও ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন।
এ প্রকল্পে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ২৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত মোট একক ঘরের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি।
বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে বরাদ্দ হচ্ছে ৬৭ হাজার ৮০০টি।লক্ষ্মীপুরের রামগতি; বাগেরহাটের রামপাল; ময়মনসিংহের নান্দাইল; পঞ্চগড় সদর এবং মাগুরার মহম্ম’দপুর প্রান্তে ঘর পাওয়া পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় ঊর্ধ্বতন কর্মক’র্তারাও আজকের ভিডিও কনফারেন্সে যু’ক্ত ছিলেন।