কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ফার্মেসী ব্যবসায়ী মো. মাসুদ রানা আকন্দের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এছাড়া তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুট করা এক ভরি এগারো আনা ওজনের স্বর্ণের এক জোড়া দুল, স্বর্ণের দুইটি বালা, স্বর্ণের একটি চেইন ও স্বর্ণের তিনটি আংটি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন, মোহাম্মদ আলী (২১), রিয়াজ উদ্দিন (৫০), বাচ্চু (৪০), সুলতান (২৮) ও বাপন সাহা (৩৫)। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী কটিয়াদী উপজেলার পাইকসা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে, রিয়াজ উদ্দিন একই গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে, বাচ্চু জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার সাটিয়াদী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে, সুলতান একই গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে এবং বাপন সাহা তালদর্শী গ্রামের হরিপদ সাহার ছেলে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে জেলার কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া উপজেলা এবং গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রিয়াজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৭টি ডাকাতির মামলা রয়েছে এবং বাপন সাহা জুয়েলারী ব্যবসায়ী।
বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার) জানান, গত ২৫ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে কটিয়াদী উপজেলার উত্তর ঘিলাকান্দি গ্রামে মো. মাসুদ রানা আকন্দের বাড়িতে ডাকাতদলের এই সদস্যরা হানা দেয়। এ সময় মাসুদ রানা আকন্দ ও তার স্ত্রী নাদিরা পারভীন রুবিকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে বাড়িতে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন ২৬ অক্টোবর মাসুদ রানা আকন্দ বাদী হয়ে তিনজনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন। ওইদিনই মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামি সাদ্দাম (২২) ও মো. মাহফুজ (২০) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।পরবর্তিতে তদন্তের মাধ্যমে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ডাকাতদলের সদস্যদের চিহ্ণিত করে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে জেলার কটিয়াদী ও পাকুন্দিয়া এবং গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় ডাকাতদলের পাঁচ সদস্য পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এছাড়া আরো দুই সদস্য পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তারা পুলিশের কাছে ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করে।