শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ধর্ষিত কিশোরীকে ৯দিনে ও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ সীতাকুণ্ডে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত দুই সাভারের সড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজি  দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কে বিজয়ী করতে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার- ৭ জন জুয়াড়ী সুনামগঞ্জের ছাতকে “নাফিসা ডেইরি ফার্ম” নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন সীতাকুণ্ডে পাঁচটি চোরাই গরু উদ্ধার সহ আটক তিন সীতাকুণ্ডে প্রাণীসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ সম্পন্ন বিরামপুরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্টিত লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যার সন্তানদের মানববন্ধন গ্রেফতার ৭ নৌকায় চড়ে জরুরি কাজ সারছেন শারজাহবাসী দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে গনসংযোগ করেছেন প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ কুয়েতে লালা সবুজের পতাকা উড়বে এবার নিজস্ব ভূমিতে সীতাকুণ্ডে বিএসটিআই এর অনুমোদনবিহীন খাবার পানি সরবরাহ করায় আরএম ড্রিংকিং ওয়াটার প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড দাকোপে প্রাণী সম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

দু’বারের ইউপি চেয়ারম্যান ওসমান গনি মোল্লার শেষ সম্বল টিনের ঘর- দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ৯৫০ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৮ অপরাহ্ণ

মোঃ মাসুদ রানা,কচুয়াঃ
শনিবার সকাল বেলা একটি বিশেষ কাজে ১নং সাচার ইউনিয়নের দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ওসমান গনি মোল্লার মোবাইলে ফোন দিলাম। যথারীথি ফোনটা রিসিভ হলো এবং ও প্রান্ত থেকে কে যেন হাই মাউ করে কেঁদে বললো, ভাই চেয়ারম্যান সাহেব নেই,তিনি মারা গেছেন। এ কথা শোনার পর, প্রথমে আমি তাকে ধমক দিলাম, কি ব্যাপার পাগল হয়েছেন নাকি! একথা বলার পর ওই লোক ফোনটা কেটে দিলেন। তার পর আমি আরো পরিচিত দু’জনের কাছে ফোন দিলাম, তারা একই কথা জানালেন। তখন আমি নিজ ঘরে একা একা বসে কাপতে লাগলাম। ভাবলাম, আর যেন কোনো ভাবেই তাদের কথা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার শুয়ারোল গ্রামে একটি শালিশে দেখা ও শুক্রবারও চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা হয়েছে। বললেন সাচার বাজারে আইন শৃংখলা বাহিনী করোনায় বাজার মুখী মানুষকে ধাওয়া করছেন। এর আগে গত নভেম্বর মাসে তাঁর বাড়ীতে গিয়ে ছিলাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলের একটি সংবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষাৎকার নিতে। আগের দিন মোবাইলে কথা বলে, পরদিন সকাল বেলা গিয়ে দেখলাম তিনি ঘরে নেই। তাঁর একমাত্র ভাই আরমান মোল্লা পাশের ঘর থেকে বললেন, ভাই ঘরে নেই, তিনি ভোরে উঠে মানুষের সেবা করতে চলে গেছেন। একটু ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করলাম। আবার পেছনের দিকে চলে এলাম। জিজ্ঞাসা করলোম, এটা কার ঘর। মনে করেছি,গরীর কোন ব্যক্তির ঘর। ঘরের বেড়া নেই, ঘরে ঘাট নেই। নেই বসার কিছু নেই। ভাবলাম এমন ঘর একজন চেয়ারম্যানের হয় নাকি। এখনতো একবার কেউ মেম্বার হলেই অনেকে বাড়ীতে দু-তিন তালা বিল্ডিং উঠে যায়। পেছন থেকে একজন বয়স্ক লোক এসে বললেন,এটাই আমাদের চেয়ারম্যান সাহেবের ঘর। তিনি নিজের জন্য, তার পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু করেন না। চেয়ারম্যানী করে সব কিছু ইউনিয়নের মানুষের জন্য বিলি করে দেন। তিনি কারো কাজ থেকে কোন দিন একটি টাকা নিয়েছে এমন প্রমান নেই। তার কোন ব্যাংকে অ্যাকাইন্ট নেই। দেন দরবারে কোন দিন একটি পয়সাও নেননা।
তখন বুঝলাম একজন ওসমান গনি মোল্লা চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর কাছে কতোটা জনপ্রিয় ও সৎ মানুষ। তিনি আসলেই একজন সৎ ও সাদা মনের মানুষ ছিলেন। আমার দেখা একজন ভালো মনের মানুষ। দেখা হলে সব সময় হাসি মুখে কথা বলতেন। এলাকায় দল-মত সকল মানুষের সাথে তাঁর আত্মরিক সর্ম্পক ছিলো। যার প্রমান মহামারী করোনা পেছণে ফেলে এলাকাবাসী তাঁর জানাযায় ঢল নামে। ওসমান গনি মোল্লার পৃথক ৩টি জানাযায় হাজারো মুসল্লি হয়। উপস্থিত সকলেই চোখের জলে তাকে বিদায় দেন।
তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই, তা আমার ভাবতে অবাক হই। আসলেই আমরা কেউ এই দুনিয়াতে থাকনো না, আগে পরে চলে যাবো। কিন্তু এভাবে সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে চলে যাবেন, ইউপি চেয়ারম্যান প্রিয় ওসমান গনি মোল্লা ভাই তা ভাবিনি কখনো। পর পারে ভালো থাকবেন, এ দোয়াই করি। ভালো থাকেন ওসমান গনি মোল্লা। তার মৃত্যুতে কচুয়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!