সাভারে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে
ছাত্রলীগ নেতার স্ত্রী পরিচয়ে পরে এসে আগে রোগী দেখানোর সিরিয়াল না পেয়ে অন্য রোগীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আঁখি নামে এক নারীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত নারী নিজেকে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এ ঘটনা ঘটান।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাভার থানা স্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমন ঘটনা ঘটেছে। পরে অভিযুক্ত নারী ছাত্রলীগ নেতার অনুসারীদের হাসপাতালে ডেকে আনলে আরও একজন রোগীসহ তার স্বজনদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- মাদ্রাসা শিক্ষক মোশাররফ হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী রূপালী বেগম (৪০) ও ছেলে শিবলী (২১)। এছাড়াও আহত আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকার বাসিন্দা আঁখি অপর রোগীকে মারধর করলে বাধা দেন শিক্ষক মোশাররফ হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আতিককে ফোন করলে ঘটনাস্থলে আসেন আতিকের ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জামান সহ ১০-১৫ জন। এসময় মোশারফকে মারধর ও হুমকি দিয়ে তারা বলেন- ‘তুই জানিস না, আঁখি আপা আতিক ভাইয়ের কি?’
এতে শিক্ষক মোশাররফের ছেলে শিবলী এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করলে তাকে কিল-ঘুষি মেরে পেটানো শুরু করেন নজরুল। চোখের সামনে ছেলেকে মারতে দেখে শিবলীর মা রূপালী বেগম এগিয়ে আসলে তাকে সজরে ধাক্কা দিলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। পরে শিবলীকে উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয় সমালোচনা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আঁখি ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার ওসি (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।