নওগাঁর পত্নীতলায় ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ এবং এ ঘটনায় আরও তিনজন আসামী পলাতক রয়েছে।আটকৃতরা হলো নিয়ামতপুর থানার কান্তাইল গ্রামের বাবুল রানা হামিদের ছেলে মোঃ জিহাদ হাসান জিসান (১৬) পত্নীতলা থানার পত্নীতলা বাজারে এলাকার বাসিন্দা তৈমুর আলীর ছেলে তৈয়ব আলী (২২), পত্নীতলা বাজার এলাকার মোজাফফর রহমানের ছেলে মেজবাউল হক ইমন (২৭)গোপীনগর গ্রামের বিদ্যুৎ মন্ডলের ছেলে তন্ময় মন্ডল (২০) এবং হরিরামপুর গ্রামের লবিবর রহমানের ছেলে মাহাবুব আলম (২৮) এ ঘটনায় পারভেজ, রিপন, মাহাবুব নামে আরও ৩ জন আসামী পলাতক রয়েছে।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীনি (২৩) এর সহিত ১ নং বিবাদী মাহবুব আলম এর সাথে ৩ মাস পূর্বে থেকে মোবাইলে প্রেম ভালবাসর সম্পর্ক হয়। সেই সুবাদে মাহবুব আলম তাকে ৯ আগস্ট আনুমানিক দশটার সময় মোবাইল ফোনে বেড়াইতে যাওয়ার কথা জানায় এবং নিয়ামতপুর থানার ছাতড়া বাজারে আসতে বলে। সকাল অনুমান সাড়ে দশটার দিকে ভিকটিম তার ৪ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাজারে আসলে মাহবুব ও জিসান তাদেরকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে বেড়ানোর কথা বলে পত্নীতলা থানার নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে এসে স্থানীয় একটি হোটেলে নাস্তা করিয়ে নজিপুর আলহেরা পড়ার একটি বাসায় নিয়ে ১ নং বিবাদী মাহবুব আলম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিম (২৩) কে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিকটিম ও তার ছোট মেয়ে চিৎকার চেচামেচি করলে আশে পাশে থাকা অন্য আসামীরা এসে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে না হলে ঘটনা প্রকাশ করে দিবে এবং পুলিশকে ডেকে ধরে দিবে এরকম ভয় দেখায় তার বাবাকে ফোন দিলে তার বাবা ৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠায়, এর পর তাদের ছেড়ে দেয়। পরে সন্ধ্যায় আসামী ইমন ও তন্ময় মন্ডল তাদেরকে পত্নীতলা বাজারে নিয়ে গিয়ে আবার ৫০ হাজার টাকা দাবী করে তার বাবাকে ফোন করে। এদিকে তার পিতা টাকা না দিয়ে সেখানকার মেম্বার ও স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে রাত একটায় পত্নীতলা বাজারে পৌঁছে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে, আরও ৩ জন পলাতক রয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।