আলিফা আলিফা ,গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পরিবারের ৬ সদস্য গত দুই বছর যাবত নিজ বসতবাড়িতে অবরুদ্ধ
রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মো.
মোফাজ্জল সপরিবারে ওই অভিযোগ করেছেন। প্রতিপক্ষের কাছে জমি বিক্রি না করায় তারা অবরুদ্ধ থাকার
শিকার বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা।
বুধবার বিকেলে গাজীপুর প্রেসক্লাবে মো. মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে জাহিদ হাসান লিখিত বক্তব্যে
জানান, তাদের প্রতিবেশী মো. শফিউদ্দিন, মো. আনোয়ার হোসন, মো. শরীফ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের
বসত বাড়ির জমি বিক্রির জন্য তাদেরকে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাদের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায়
প্রতিবেশীরা তাদের বসতবাড়ির প্রবেশ পথে খুঁটি পুঁতে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। বসতবাড়ির
পয়:নিষ্কাশন ড্রেন মাটি দিয়ে ভরাট করে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এতে ওই পরিবার অস্বাস্থ্যকর
পরিবেশে বাধ্য হয়ে বসবাস করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউএনও, চেয়ারম্যান ও থানায় অভিযোগ দেয়া
হয়েছে।
ওই প্রতিবেশেীরা গত ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে তাদের বসতবাড়ির প্রবেশ পথের রাস্তা থেকে ইট বালি
খোয়া তুলে নেয়। কারণ জানতে চাইলে ওই পরিবারের সদস্যদের ওপর প্রতিবেশীরা হামলা চালিয়ে উপর্যুপরি
আঘাতে আহত করে। স্থানীয় মৌচাক ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনিও এ ব্যাপারে কোনো
কার্যকর ভূমিকা নেননি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। এসব ঘটনার স্থিরচিত্র প্রদর্শন করে
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগগুলো করেন। এসময় মো. মোফাজ্জল হোসেন, স্ত্রী জাহানারা, ছেলে জাহিদ
হাসান, কন্যা মেহেরুন্নেছা, মা জহুরা খাতুন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেশী মো. শফিউদ্দিন বলেন, মোফাজ্জল তারই ভাগ্নে। তার কাছে আমাদের জমি পাওনা আছে। তাদের
বাড়িতে যাওয়ার জন্য দুইটি রাস্তা রয়েছে। যা আমার জমির উপর দিয়ে গেছে। জমির বিরোধ নিষ্পত্তির
এলাকার গণ্যমান্য নিয়ে সালিশ হলেও তা সে মানে না। আমিতো তাদের চলার জন্য দুই রাস্তা দিতে পারিনা।
অপর রাস্তা দিয়ে তারা চলাচল করছে।
মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে
ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোটেশনের মাধ্যমে মোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়া
হয়েছিল। কিন্তু কোনো পক্ষই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে না থাকায় রাস্তার ইট, খোয়া, বালি তিনি নিজেই
তুলে নিয়েছেন বলে জানান।