কোহিনূর আক্তার কনা ও নাবিল রহমান, তারা দুই সহোদর।
কোহিনূরের বয়স ১৩বছর, আর নাবিল রহমানের বয়স ১৯মাস। কোহিনূর স্থানীয় হালিমুন্নেছা চৌধুরানী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওদের বাবা ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ধামশুর গ্রামের কেরামত আলী।
তিনি পেশায় একজন চা বিক্রেতা। মা নাছিমা খাতুন একজন গৃহিনী। কোহিনূর এবং নাবিল উভয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে মো. কেরামত আলীর ছোট সংসার।
অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে গিয়ে বছর দশেক আগে কোহিনূর আক্তার কনার থ্যালাসেমিয়া রোগ ধরা পড়ে। সেই থেকে তার চিকিৎসা চলছে।
অপরদিকে, অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর দেড় দুই মাস আগে একই রোগ ধরা পড়েছে শিশু নাবিল রহমানের। তারা বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে একজন ডাক্তারের চিকিৎসাধীন। দুই শিশুর মা নাছিমা জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে অন্যান্য ঔষধের পাশাপাশি কোহিনূরকে মাসে এক ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। ডাক্তার বলেছেন,নাবিলকে একসাতে তিন ব্যাগ রক্ত দিতে হবে।
কিন্তু, টাকার অভাবে নাবিলের চিকিৎসা এখনো শুরু করতে পারেনি তার পরিবার। তিনি বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়ার আক্রান্ত দুই সন্তানের পরীক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসা বাবদ এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে এগারো লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বাড়ি ভিটে ও একটি বশতঘর ছাড়া সহায় সম্ভল যা কিছু ছিল সন্তানদের চিকিৎসা বাবদ সবই বিক্রি করে দিয়েছি।
ডাক্তার জানিয়েছেন, অপারেশন করা হলে আমার দুই সন্তান সুস্থ হয়ে উঠবে এবং তাদের অপারেশনের জন্যে ১১লাখ টাকা লাগবে।
কিন্তু, আমাদের পক্ষে ওই পরিমাণ টাকা জোগার করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।’ তাই, দুই সন্তানের চিকিৎসায় জন্যে তারা প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের দয়ালু, পরোপকারী এবং সামর্থবানদের কাছে মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। মা নাছিমার আকুতি, ১১লাখ টাকা হলেই বেঁচে যাবে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তাঁর আদুরে দুটি সন্তান।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা ন্যাশানেল ব্যাংক ভালুকা শাখার হিসাব নং- ১১০০০০৩৬৫২৬৪৬, বিকাশ নং- ০১৯৪৯২৫০২৪০। যোগাযোগ নাছিমা ০১৭৫৮৮৫৭৩৫২।
সকল প্রবাসীর কাছে সাহায্যের অনুরোধ করছি।