আবহাওয়া জনিত কারণে নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বেড়েছে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব। ঘরে ঘরে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এই জ্বরে।
জানা গেছে,গত কয়েকদিনে ভ্যাপসা গরম ও বন্যার পানি কমতে থাকায় অনেকেই এ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সব বয়সী মানুষই আক্রান্ত হচ্ছে। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে ওষুধ সেবন করেও তিন দিনের আগে আরগ্য লাভ হচ্ছে না।
আক্রান্তদের নুন্যতম ৩-৫ দিন ভুগতে হচ্ছে। কোনো কোনো পরিবারে সবসদস্য এক সঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে অনেকেই জ্বরের অসহ্য যন্ত্রণাভোগের কথা তুলে ধরে দোয়া কামনা করছেন।
কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিদিন আউটডোর ও ইমার্জেন্সীতে ৩ শতাধিক রোগীর আগমন ঘটে। এরমধ্যে ৬০% রোগীই জ্বরের আক্রান্ত। তবে এসব রোগী হাসপাতাল ভর্তি হয় না। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। জ্বরের আক্রান্ত রোগীর চাপ বাড়ায় বেশকিছু রোগীর করোনা পরীক্ষা করানো হলে সবারই নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাশরুফ ওয়াহিদ।
তিনি আরো বলেন,চিন্তার কোন কারণ নেই বর্তমানে অতিরিক্ত গরম ও বন্যার পানি কমতে শুরু হওয়ার কারণে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এই জ্বরের তেমন এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন নেই। প্যারাসিটামল জাতীয় সাধারণ ঔষধের পাশাপাশি বেশি করে পানি-শরবত খেতে হবে। পানিশূন্যতা দেখা দিলে ওরস্যালাইন খেতে হবে।
৩ দিনেও জ্বর না কমলে এন্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে। তবে আক্রান্তের ৫ দিন অতিবাহিত হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।