একদিন পর ঈদুল আযহা। ঈদকে কেন্দ্র করে শিশুদের আগ্রহের শেষ নেই। অভিভাবকরাও সাধ্যমত চেষ্টা করেন শিশুদের সমস্ত বায়না মেটাতে। তবে বঞ্চিত থেকে যায় অসহায় পথশিশু ও সুবিধা বঞ্চিত শিশুরা। তাদের মন ঈদের কোনো রঙেই ঠিক মতো রাঙে না।
এবার সুবিধা বঞ্চিত এই শিশুদের ঈদের রঙে রাঙাতে উদ্যোগ নিয়েছে চাঁদপুরের প্রথম নারী সংগঠন “বিজয়ী”। শিশুদের নিয়ে মেহেদী রাঙা উৎসব পালন করেছেন তারা।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিল চাঁদপুরের সুনামধন্য সংগঠন তারুণ্যের অগ্রদূত।
অদ্য ৮ ই জুলাই শুক্রবার চাঁদপুরের বড় স্টেশনের রেলওয়ে স্কেভেঞ্জারস সরকারি প্রাথামিক বিদ্যালয়ে অর্ধশত শিশুদের নিয়ে এই আয়োজন করা হয়।
বিজয়ী এর ফাউন্ডার তানিয়া ইশতিয়াক খান বলেন, ‘আগামী রবিবার ঈদুল আযহা। দিনটি সবার জন্য আনন্দের। আমরা চেষ্টা করছি ঈদের আনন্দ যেন গরিব, অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ে। তাই এই শিশুদের হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দিলাম। প্রতি বছর বাড়িতে ছোট ভাই বোনদের হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দিই। তবে এবার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের হাতে মেহেদী রাঙিয়ে দিয়ে অনেক ভাল লাগছে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যমনি মাহামুদুল হাসান নানা ভাই, এডঃ আবুল কালাম সরকার এবং তারুণ্যের অগ্রদূত সংগঠনের সকল সদস্যদের। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই বিজয়ীর সকল সদস্যদের।
মেহেদী উৎসবের সমন্বয়ক ও তারুণ্যের অগ্রদূত সংগঠনের সভাপতি ইমরান বলেন, ‘ঈদ সবার জন্য আনন্দের দিন। সবাই মিলে নিজেদের হাতে মেহেদী দেওয়ার পাশাপাশি গরিব, অসহায়, পথশিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মেহেদী রাঙা উৎসব পালন করব। সেই লক্ষ্য নারী সংগঠন বিজয়ীর আয়োজনে এবং আমাদের সংগঠনের সকল সদস্যরা সার্বিক সহায়তায় আজকের এই মেহেদী রাঙ্গা উৎসব সফল ভাবে সম্পন্ন করে শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়েছি।
মেহেদী উৎসবের প্রধান অতিথি মাহামুদুর রহমান নানা ভাই বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে আমরাও আনন্দিত। সমাজের সবাই যদি এসব শিশুদের ছোটো ছোটো আনন্দের ভাগিদার হয়ে যায়, তাহলে তাদের মলিন মুখেও নির্মল হাসি ফুটে উঠবে।’ তিনি বিজয়ী এবং তারুণ্যের অগ্রদূত সংগঠনের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আরও বলেন ইনশাআল্লাহ সবার সহযোগিতায় প্রতি বছর এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যবস্থা করবো।
এ সময় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের মেহেদী উৎসব এর রূপকার এডঃ আবুল কালাম সরকার, চাঁদপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আশিক খান, তারুণ্যের অগ্রদূত সংগঠন এর সাধারন সম্পাদক । শিশুদের জন্য মেহেদী, খাবার ও শিক্ষা সামগ্রী স্পন্সর করেন সুমাইয়া গাজী, আসফিয়া জাহান, পুষ্পিতা পুষ্প, খান’স প্রডাক্টস সহ বিজয়ী ও তারুণ্যের অগ্রদূত সংগঠনের সদস্যগন।
শিশুদের মেহেদী দিয়ে হাত রাঙ্গানো শেষে সবার হাতে বিজয়ী এর পক্ষ থেকে নানা রকম খাবার ও শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।