চট্টগ্রামের শুদ্ধসংগীত শিক্ষার অন্যতম প্রতিষ্ঠান বাগীশ্বরী সংগীতালয়। সংগীতের সুর মানব মনকে আলোকিত করে।
মনের সৎসাহস এবং যেকোনো সৃষ্টিশীল মানবিক কাজে অনুপ্রেরণা যোগায়। অন্যায়কে দূরে ঠেলে সত্য ও সুন্দরের পথ দেখায়। বাগীশ্বরী সংগীতালয় দীর্ঘ ১৮ বছর সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে শুদ্ধ সংগীতে
প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে সুস্থ ও মানবিক প্রজন্ম গড়ে ওঠে বলে আমি বিশ্বাস করি। গত ২৬ মার্চ শনিবার বিকাল ৪ টায় নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ বাগীশিক মিলনায়তনে বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের সভাপতি কৈলাশ বিহারী সেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ এর উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন রাষ্ট্রীয় জরুরী কাজে ব্যস্ত থাকায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন ।
মুখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. উদিতি দত্ত। বাচিক শিল্পী অদিতি সাহার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের অধ্যক্ষ রিষু তালুকদার, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক যীশু সেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. উদিতি দত্ত বলেন- বাঙালির ইতিহাস নেই এই খেদ স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্রের। আমাদের জাতীয় সংগ্রামের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে পৌঁছে দেওয়া আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। বিকৃত ইতিহাস বিভ্রান্ত করতে পারে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে। নতুন প্রজন্মের চিন্তা ও চেতনার বিকাশ ঘটাতে পারে সত্য ইতিহাস। বর্তমান সময়ে ইতিহাসকে বিকৃত করার কোনো সুযোগ আর নেই। আমাদের সন্তানেরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। এটাই আমাদের অহংকার।
লায়ন কৈলাশ বিহারী সেন বলেন- মাদকমুক্ত ও জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ বিনির্মানের লক্ষ্যে বাগীশ্বরী সঙ্গীতালয় সুদীর্ঘ এই পথচলায় আমরা নতুন প্রজন্মকে বাংলা ও বাঙ্গালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করে দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাগীশ্বরী সংগীতালয়ের সহ-সম্পাদক পলাশ দে, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী রিমন সাহা, সদস্য-সচিব প্রিয়তোষ নাথ, প্রকৌ. সুমন সেন, শিক্ষক সমিরণ সেন প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে সংগীতানুষ্ঠানে একক সমবেত সংগীত, একক ও দলীয় নৃত্য, আবৃত্তি অংশগ্রহণকারী শিল্পীবৃন্দ হলেন সংগীতে (অগ্রজ) : মণিষা সরকার, নিগার সুলতানা, রক্তিম ধর, অপিতা দাস আনিকা, সুইটি বর্মন, অর্পা দে, অনিতা ঘোষ, মণিষা দাশ, অপর্ণা তালুকদার, অদ্রিতা চৌধুরী, লাকী দে, বর্ষা দেবী জয়া ও হিমাদ্রি গুহ ।
সংগীতে অনুজ : নবনীতা দাশ, পাপিয়া পাল, প্রতীতি ইসলাম বুনন, অমৃত চক্রবর্তী, অর্জুন তালুকদার, পুনম দাশ, সুহৃদ সাহা, আরাধ্যা চক্রবর্তী, নাদিয়া সুলতানা ঈশা, অরিত্র দে (দিব্য), পূর্ণা দাশ, আয়ুষ ধর, স্বর্নিল বিশ্বাস, স্নিগ্ধা দে নিতু, দীপান্বিতা চক্রবর্তী,
স্বস্তিকা মজুমদার, বর্ণ সাহা, শ্রেষ্ঠ দে, স্পর্শ সাহা, অহনা মজুমদার, অরণ্য দাশ, অন্বেষা দাশ, বিমুগ্ধ দাশ ও অর্ণব চৌধুরী বাপ্পী।
নৃত্যে অংশগ্রহণ করেন : হৃদিতা দাশ, পূজা মল্লিক, পূর্ণতা দুর্লভ ও কৃপা দে।
আবৃত্তি করেন : সমীরণ সেন, ঐন্দ্রিলা চক্রবর্তী, অপূর্বা তালুকদার, মৌবনী সেনগুপ্তা, স্নেহা দাশ ও অহর্নিশ সাহা।
যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন – ওয়াশিংটন দে (কীবোর্ড), পলাশ দে (তবলা) ও পুলক দে (অক্টোপ্যাড)।