মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সেবার নামে গলাকাটা বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার মাতারবাড়ী নতুন বাজার সিএনজি স্টেশন সংলগ্ন ফুলকলির ২য় তলায় অবস্থিত হাজী ইসলামি শপিং সেন্টার জামায়াত-শিবির ঘরনার বেসরকারী চিকিৎসা প্রতিষ্টান পল্লী চিকিৎসক আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বিরুদ্ধে চিকিৎসার নামে রমরমা বাণিজ্যের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্বনামধন্যতা লেবাসের আড়ালে মাতারবাড়ী অবস্থিত এ চেম্বারটি নানা অনিয়ম-দূর্নীতির আকন্ঠে নিমজ্জিত রয়েছে। প্রাইভেট এই চেম্বারটি এই এলাকায় সু-পরিচিত প্রতিষ্ঠান হিসাবে খ্যাতি পেলেও তার বাস্তব অনেকটা উল্টো। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ঘটনায় প্রতিষ্টানটির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এখন জনমনে। একই সাথে চিকিৎসার পাশাপাশি সব ধরণের সেবা খাতে চলছে গলাকাটা বাণিজ্য। তার নিজস্ব চুক্তি ভিত্তিক ফার্মেসীতে ওষুধ বিক্রিতেও চলছে চরম নৈরাজ্য। এতে করে বর্তমানে উক্ত চিকিৎসক সুনাম ও নিরাপদ চিকিৎসা সেবা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া তিনি রোগী দেখলেও প্রধান রোগ নির্ণয় ও নিজস্ব পরীক্ষা যেমন (ব্লাড পেসার, তাপ মাত্রা, নাড়ীর গতি, ওজন) এ সম্পর্কে তার তেমন কোন ধারনা নেই।
জানাগেছে, লাইসেন্স ও মানসম্মত কক্ষ বিহীন এই চেম্বারটি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া নীতিমালা ও আইন পরিপন্থী হয়ে চলছে প্রথম থেকেই। অপরদিকে এই চিকিৎসকের হাতে সেবা নিতে এসে বিভিন্ন সময় নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। বিশেষ করে প্রবাসিদের স্ত্রী। এমন অপ্রত্যাশিত খবর সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর থেকে পূর্বের চেম্বার থেকে ভবন মালিক পক্ষ তাকে তাড়িয়ে দিলেও একই এলাকায় সু-কৌশলে আরেকটি চেম্বার খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। চিকিৎসক আনিসুল ইসলাম মাহমুদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিতে গিয়ে এমন লোমর্হষক তথ্য পাওয়া গেছে।
আরো জানা যায়, প্রথম স্ত্রী রাবিয়া বছরি পল্লী চিকিৎসক আনিসুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ২০১৬ সালে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেন। যার নং ৬২৯/১৬ ইং। উক্ত মামলায় ২০১৮ সালে মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা পরিপন্থী হয়ে এসব বেসরকারি ক্লিনিক ও চেম্বার অবাধে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই মাতারবাড়ী জুড়ে ক্লিনিক ও চেম্বারের ছড়াছড়ি। অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলছে না। পল্লী চিকিৎসক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সরবরাহকৃত স্লিপে ঠিক চিহ্ন দিয়ে দেন কোন কোন টেস্ট করাতে হবে। রোগী নিজের পছন্দের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেই টেস্ট করালে ডাক্তার সে রিপোর্ট গ্রহণ করেন না বলে জানা গেছে। এসব বিষয়ে অস্বীকার করে পল্লী চিকিৎসক আনিসুল ইসলাম মাহমুদ তার বিরুদ্ধে আনা এসব ষড়যন্ত্র ও অপ্রচার বলে দাবি করেন। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও সরকারী লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য এড়িয়ে যান।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজুর রহমান বলেন, যদি কেউ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চেম্বার খুলে কোন পল্লী চিকিৎসক রোগী হয়রানি করে থাকে তৎক্ষনাৎ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।