ঢাকামঙ্গলবার , ১১ মার্চ ২০২৫
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ২ দিনেও উদ্ধার হয়নি, ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ কর্মসূচী

প্রতিবেদক
majedur
মার্চ ১১, ২০২৫ ৯:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ২ দিনেও উদ্ধার হয়নি, ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ কর্মসূচী

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি \ ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে আড়াই মাসের এক শিশুকে চুরি করে নিয়ে গেছে এক অজ্ঞাতপরিচয় নারী। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটি উদ্ধার হয়নি। প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা শহরের চৌরাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। পরে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা এসে উদ্ধারের আশ্বাসে ছাত্র-জনতা সমাবেশ শেষ করে ফিরে যায়।
জানা যায়, ওই দিন সন্ধায় সদর উপজেলার ভুল্লি মুন্সিরহাট গ্রামের শিমুলের ছেলে সায়ান ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোববার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সারাদিন এক অচেনা নারী শিশুটির পাশে থেকে তার যত্ন নেয় এবং বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে। সন্ধ্যায় শিশুটির মা হাসি (১৯) ও নানি (৪০) পাশের ওয়ার্ডে অন্য এক রোগীকে দেখতে গেলে ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।ফিরে এসে তারা শিশুটিকে বিছানায় না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পাননি।
শিশুটির বাবা শিমুল হোসেন বলেন, ‘আমার সন্তানকে হাসপাতাল থেকে চুরি করে নিয়ে গেলো! আমরা গরিব মানুষ, কারও কোনও ক্ষতি করিনি। হাসপাতালের নিরাপত্তা যদি ঠিক থাকতো, তাহলে এভাবে আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে পারতো না। এর দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নিরাপত্তাকর্মীদের নিতে হবে।’ঘটনার পরপরই ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহিদুর রহমান বলেন, ওই দিন রাতেই মহিলা শিশুটিকে নিয়ে গাজিপুরে চলে গেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। গাজিপুর পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, ‘শিশু চুরি হওয়ার ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। ঘটনা টি অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রাথমিকভাবে আমরা হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। এ ছাড়া হাসপাতালের আশপাশের এলাকা, বাস ও ট্রেন স্টেশনেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Don`t copy text!