কুড়িগ্রামের কোথাও কোন বিনোদন স্পষ্ট না, থাকায় প্রতিবছরই কোন না কোন উৎসবে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় জমে কুড়িগ্রামের একমাত্র ধরলা ব্রিজসহ আশেপাশের নদী রক্ষা বাঁধে। এদিন করে তীব্র যানজটের শিকার হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এ সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনসহ সাধারণ মানুষকে। তবে এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যানজট নিরসনে ধরলা ব্রিজে চালু করা হয় ওয়ান ওয়ে ও সচেতনতা মূলক মাইকিং। ফলে তীব্র যানজট থেকে মুক্তি পায় দর্শনার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেখা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কুড়িগ্রাম ধরলা ব্রিজ এলাকায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বেড়াতে এসেছেন দর্শনার্থীরা। নিরবিচ্ছিন্ন যাতায়াত ব্যবস্থা ও মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ব্রিজে উপর ওয়ানওয়ে ও সচেতনতা মূলক মাইকিং করছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিল পাড়া এলাকার আখতারুজ্জামান বলেন, ঈদের দিন করে ধরলা ব্রিজ পাড় হতে জ্যামে পড়তে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এখানে। এবার ব্রিজের উপর ওয়ানওয়ে চালু করার কারণে যানজটে পড়তে হয়নি। আগের মতোই স্বাভাবিক ভাবে ব্রিজ পারি দিলাম।
কুড়িগ্রাম ধরলা ব্রিজে ঘুরতে এসেছেন নাগেশ্বরী উপজেলার সফিউল আলম। তিনি বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি এখানে। মোটরসাইকেলে করে ধরলা ব্রিজ দিয়ে ২-৩ বার পারাপার হলাম, যানজট নাই। এবার এখানে পরিবেশটা অনেক সুন্দর।
কুড়িগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর বানিউল আনাম বলেন, প্রতিবছর ঈদের ধরলা ব্রিজ এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। এবার যানজটের কথা চিন্তা করে ব্রিজের উপর ওয়ান ওয়ে ও সচেতনতা মূলক মাইকিং করছি আমরা। ফলে কিন্তু এবার যানজটের কবলে পড়েনি মানুষ। আমরা ঈদকে ঘিরে সকাল ১০টা থেকে ধরলা ব্রিজের দু-পাড়ে দায়িত্ব পালন করছি।
মানুষ যাতে কষ্টে না পড়ে, তাই ঈদের দিনও কাজ করে চলেছি আমরা।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ঈদকে ঘিরে রমযান মাস থেকেই শহরে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। আজ ঈদকে ঘিরে দর্শনার্থীরা ধরলা ব্রিজে বেরাতে আসেন। যানজট নিরসনে আমরা ব্রিজের ওপর ওয়ানওয়ে ও সচেতনতা মূলক মাইকিং করছি। ফলে কিন্তু এ বছর ধরলা ব্রিজ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়নি।