কুড়িগ্রামে গত ১ বছরে প্রায় ৩২ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।
রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা পুলিশ সুত্র জানায়, জেলার সকল থানায় গত ১ বছরে ৬৭৮টি মাদক মামলা করা হয়েছে।
এতে ৮৫০ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। অপর দিকে এক বছরে , ১ হাজার ৬২২ কেজি গাঁজা, ৪ হাজার ৫১৬ বোতল ফেনসিডিল, ৬০ হাজার ১৪১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ৪১৪ বোতল ইস্কাফ, ১ হাজার ১১৪ বোতল বিদেশি মদ, ১৫০ লিটার দেশীও মদ ও হিরোইন ২২৮ গ্রাম উদ্ধার করে পুলিশ। সব মিলিয়ে এসব মাদকদ্রব্যের মুল্য দাড়িয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা।
এখানে ছোট বড় মিলে ১৬টি নদ নদী রয়েছে। প্রতিবছর বন্যা ও নদী ভাঙনে অসংখ্য মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়। নদীতে বিলীন হয় শত শত বিঘা ফসিল জমি। যার কারণে এখানকার মানুষেরা হয়, আরও দরিদ্র। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই কৃষি নির্ভর। এ জেলাতেই এতো মাদকের ছড়াছড়ি। তবে গত এক বছরে ব্যাপক পরিসরে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ। এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করার ফলে পুলিশের প্রশংসা করছেন এখানকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। তবে তারা বলছেন, পুলিশ সবসময় তৎপর থাকলে হয়তো মাদকদ্রব্য আরও অনেকাংশে কমে আসতে পারে কুড়িগ্রামে।
কুড়িগ্রাম সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ও সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামল ভৌমিক বলেন, এতো মাদক উদ্ধার অবশ্যই এটি ভালো কাজ পুলিশের। তারা যদি আর এ কাজটি ভালো ভাবে করে তাহলে হয়তো মাদক অনেকটা কমে যাবে কুড়িগ্রামে।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের বন্দর পাড়া এলাকার মামুনুর রশীদ বলেন, আগে তো আমাদের এলাকায় প্রচুর মাদকের কারবার চলত। তবে এখন কিছুটা কমেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি সবসময় তৎপর থাকে সেক্ষেত্রে হয়তো মাদক আরও কমে আসতে পারে।
কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মাদকের উপর জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করছি আমরা।
পুলিশ সদস্যরা অনেক পরিশ্রম করছে। যার কারণে ব্যাপর পরিমাণ মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এখানে যারাই মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকবে, আমরা তাকেই আইনের আওতায় আনবই।