কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মাঝে। তবে কমেনি ঠান্ডা ও শীতের তীব্রতা। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও, মেঘের কারণে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না।
কনকনে ঠান্ডার কারনে সময় মতো কাজে বের হতে পারছে না দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। দুই সপ্তাহ ধরে জেলায় স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে কখনও মৃদু, আবার কখনও মাঝারী শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করেছিল।
আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। লাগাতার ঘন কুয়াশার কারনে বোরো বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘ সময় বীজতলাগুলোতে কুয়াশা জমে থাকায় সেগুলো বিবর্ণ হয়ে পড়েছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতা ও কনকনে ঠান্ডায় জেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীত জনীত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশী।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনীত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগী ধারন ক্ষমতার চেয়ে বেশী রুগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ধারন ক্ষমতা ১২ জনের হলেও সেখানে ভর্তি রয়েছে ৫৫ জন এবং শিশু ওয়ার্ডের ধারন ক্ষমতা ৪৪ এর স্থলে ৭৫ জন ভর্তি রয়েছে। এছাড়া স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশী রোগী প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের কৃষক রহমান আলী বলেন, জমিতে বোরো ধান রোপণ করছি। ঠান্ডার কারনে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। যতই ঠান্ডা হোক আমারগুলার কাজ করা লাগে। কাজ না করলে পরে খাবো কি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ২-৩ দিনের মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।