কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর দরিয়া নগর এলাকা থেকে সাগর হোসেন (১৮) নামের এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সকালে দরিয়া নগর পয়েন্টে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন পুলিশ।নিহত সাগর হোসেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এর ছাতমা গ্রামের আলম মন্ডল এর ছেলে এবং রাজশাহী শাহ মখদুম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো। বৃহস্পতিবার সন্ধায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম। সাগর হোসেন এর মৃত্যুর খবরে পরিবার, স্বজন সহ প্রতিবেশীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাগর হোসেন রাজশাহী শাহ মখদুম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সাগর হোসেন সর্বশেষ গত ৪ ডিসেম্বর গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন। তবেকিভাবে কার সাথে কক্সবাজার গিয়েছিলেন বা কে তাকে নিয়ে গিয়েছেন তার কিছুই জানেন না নিহতের পরিবার। বাবা-মা ছাড়াও নিহত সাগর হোসেন এর ৫ বছর বয়সী ছোট বোন রয়েছে। সাগরের মৃতদেহ নিজ বাড়িতে আনতে কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তার বাবা সহ স্বজনরা।সাগর হোসেন এর মামা হেলাল উদ্দিন বলেন, বুধবার দুপুরে ফেসবুকে ভিডিও দেখে ভাগিনা সাগর কে চিনতে পারি। বাড়ির কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে কার সাথে কক্সবাজার গেলো বা কে তাকে নিয়ে গেলো সেটি নিয়ে ধোঁয়াসা রয়েগেছে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। সাগরের মা দোলনা বেগম বলেন, অনেক কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। ছেলের লেখা পড়ায় কোন সমস্যা যেন না হয় সেজন্য এনজিও ও ব্যাংক লোন নিয়ে প্রতি মাসে টাকা পাঠিয়ে দিতাম। পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় প্রতিবেশীরাও সহযোগিতা করতো। আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার, সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না, আমার ছেলেকে কে নিয়ে গেলো, কিভাবে নিয়ে গেলো তার সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। সত্যতা নিশ্চিত করে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাইদুল ইসলাম বলেন, লোকমুখে ঘটনা জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ নেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছেন। কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।