কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানায় লাকসাম পশ্চিম গাওে পাঁচ সন্তানের জননী রাশেদা বেগম নামের (৩৮) বছরের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে তার আত্মীয় স্বজনরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিমগাও সাহার পাড়া এলাকায় মোঃ হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী একই ওয়ার্ডের তালাক প্রাপ্ত প্রথম স্বামী মোঃ জামাল উদ্দিন ও দ্বিতীয় স্বামী উপজেলার বড়বাম গ্রামের ফারুক মিয়া’র স্ত্রী বলে তার স্বজনেরা জানিয়েছেন এবং সে বর্তমানে বরিশাল জেলার প্রবাসে কর্মরত তামিম আহমেদের স্ত্রী ছিল।
নিহত রাশেদা বেগেম
পাঁচ সন্তানের জননী ছিলেন।
রাশেদা বেগম হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার বাসিন্দা কবিরাজ তাজুল ইসলামের
মেয়ে। সে চলতি বছরের জুলাই মাসে পৌরশহর সাহপাড়া এলাকার হুমায়ুন কবিরের মালিকানা ৬ তলা ভবনে ষষ্ঠতলা ভাড়াটিয়া ছিলেন ।
ওই নারী একাধিক বিবাহিত হওয়ার এই বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা স্থানীয়দের।
তবে নিহতের বড় মেয়ের জামাই মোহাম্মদ রানা বলেন, আমার শাশুড়ী গত দুইবছর আগে সৌদি আরবে ছলে যায়, সে প্রবাসে গৃহপরিচারিকা হিসাবে কাজ করতেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় মালদ্বীপে বাংলাদেশী তামিমের সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয়ে পরে বিবাহ হয় তাদের। তামিম আহমেদের বাড়ি বরিশাল ভোলা এলাকার বাসিন্দা।
তামিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে রমজান মাসে দেশে আসেন তিনি।
সোমবার রাতে প্রবাসে থাকা তামিমের সঙ্গে তাহার মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে নিজ রুমে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। সকালে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে তার সন্তানের আত্মচিৎকার দিলে প্রতিবেশীর থানা পুলিশ কে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ দরজা ভেঙে দেখতে পায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে আমার শাশুড়ী।পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার রাতে লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে পাঠানো হবে।