শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
লক্ষ্মীপুরে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওমর হুছাইন(ভুলু) বিরামহীন প্রচারণা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহন সিলেট বিভাগের বিএনপির ৯ নেতা বহিস্কার পাঁচবিবির বাগজানায়” এমপির “সৌজন্য সফর ও মতবিনিময় ভাই ব্রাদার্স স্পোটিং ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ৪র্থ ফোরচাল টুর্নামেন্ট খেলোয়ারদের কি বল্লেন ইউপি চেয়ারম্যান মিরসরাইয়ে ৩০ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেফতার ১ সাংবাদিক তুষার দাস ও প্রিয়ংকা দাসের একমাত্র কণ্যা তৃধার মুখে ভাত অনুষ্ঠানে প্রীতি ভোজ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত মিরসরাইয়ে ৩০ বোতল বিদেশি মদসহ গ্রেফতার ১ ফরিদপুরে উপজেলা নির্বাচনে করণীয় নির্ধারণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পাঁচবিবিতে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কুলিয়ারচরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ হত্যা মনিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম‍্যান প্রার্থী সন্দীপ ঘোষের টিউবওয়েল প্রতীকের পক্ষে রাজগঞ্জে নির্বাচনী সভা দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে গনসংযোগ করেছেন প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ পাঁচবিবিতে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যমজ, ক্লিনিকে জন্ম নিল এক শিশু ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত কুলিয়ারচরে মনিক্স সুজ এর লাকী কূপন ড্র অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

জীবনের গল্প”

রচনা-পবিত্র চক্রবর্তী / ৩১৪ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩, ৮:৩৯ অপরাহ্ণ

গল্পের পটভূমি –

(রেঁস্তোরায় বসা দুই জন আধুনিক মহিলার কথপোকথন। পাশের টেবিলে বসা একজন পরিশ্রমী জনৈক পুরুষ ব্যাক্তি চা সিঙ্গারা খাচ্ছেন এবং মহিলাদের সেই সব কথা গুলো শুনছেন। পরবর্তীতে পুরুষ ব্যাক্তটি একটু বিরক্তির সুরেই সেই সব কথা গুলোর যুক্তি খন্ডন করছেন।)

প্রথম মহিলা-
এই বেয়ারা দুটো চিকেন ফ্রাই দিয়ে যেও।

দ্বিতীয় মহিলা- পরে দুটো কফিও দিয়ে যেও।

প্রথম মহিলা- বোন, দেখছি তুমিতো
বেশ সুখের মধ্যেই আছ।

দ্বিতীয় মহিলা- আরে ধুর ছাঁই! যে পুরুষের সংসার করি,একবারে সেকেলে! খুবই বিরক্তিকর!
মনের মত করে চলতে পারি না। যে টাকা রোজগার করে, আজকাল ভিখারী যারা আছে তারাও তার চেয়ে বেশী রোজগার করে। এর সাথে সংসার করে আমার সোনার জীবনটাই শেষ!

দ্বিতীয় মহিলা- বলিস কি! শুনেছি সে নাকি ইঞ্জিনিয়ার?

( এমন সময় রেঁস্তোরার বেয়ারা চিকেন ফ্রাই ও কফি নিয়ে এলেন এবং তা খেতে খেতে তাদের পুনরায় কথা শুরু করলেন। পাশে বসা জনৈক পুরুষটি চা ও সিঙ্গারা খেতে খেতে তাদের কথা গুলো মনযোগ দিয়ে শুনছেন)

শোনার পর পাশে বসা পুরুষটির
উত্তর –

এই যে ম্যাম, আপনাদের দুজনের কথা এতক্ষণ ধরে শুনলাম।এবার দয়া করে আমার একটু কথা অনুধাবন করুন!

একজন পুরুষের কান্না দেখেছেন কোনদিন ?
-দেখেননি।

একজন পুরুষের বুকের রক্ত ক্ষরণ দেখেছেন কোনদিন?
-দেখেননি।

যেই সংসারটির মধ্যে আপনি থাকছেন,যানেন -এই সংসারটির চাহিদা মিটাতে গিয়ে একজন পুরুষের কি করে তার জীবন উৎসর্গ করতে হয় প্রতিনিয়ত, তা ভেবে দেখেছেন কেনদিন?
– দেখেননি!

সংসারের সকল সদস্যদের জন্য খাওয়া দাওয়া, শিক্ষা দীক্ষার জন্য অর্থ জোগান দিতে গিয়ে কত রাত্র চিন্তায় ঘুমুতে পারেনি একজন পুরুষ, ভেবে দেখেছেন কোনদিন?
– দেখেননি কোন দিন!

তারপরে, ভবিষ্যতের জন্য জীবন পণ বাজি রেখে ধন সম্পদ সঞ্চয় করেও ঐ সম্পদের কোন কিছুরই মালিক ঐ পুরুষটি হতে পারে না!
যখন বৃদ্ধ বয়স আসে,তখন সন্তানের কাছে দশ টাকা চাইতে গেলেও অনেক কৈফিয়ৎ দিয়েই চাইতে হয়!

এটা কি একজন পুরুষের নিঃস্বার্থ ত্যাগ নয়? তা ভেবে দেখেছেন কোনদিন ?
– দেখেননি কোনদিন!

একজন স্বামী তার স্ত্রীর ভালোবাসা পাওয়া জন্য কত শত কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে প্রতিদিন,তা ভেবে দেখেছেন কোনদিন?
– তাও দেখেননি কোনদিন!

একজন পুরুষ তার নিজের জন্য কি এত কষ্ট করার দরকার আছে,বলুন?
-তাও ভাবেননি কোনদিন!

যদি তা নাই পারেন, তবে স্বামীর প্রতি একটু একাত্যতা দেখাতে ক্ষতি কি?

একটু ভালোবাসা দিয়ে,একটু শান্তনা দিতে ক্ষতি কি?

সংসারে এত এত অবহেলা, ঘৃণা,রক্ত চক্ষু, নিন্দা অপবাদ শুনেও বোবার মত থাকতে হয় প্রতিটা মূহুর্ত একজন পুরুষকে! যার ভার বইতে গিয়ে চোখের জল ফেলতে হয় নিরবে নিভৃতে!
যে আঘাতে রক্ত ক্ষরণ হয় প্রতিটা মূহুর্ত, তা কয় জন ভেবে দেখে,বলুন?

প্রত্যেক সংসারে যদি স্ত্রী তার স্বামীর দুঃখ বেদনা গুলোকে ভাগ করে নিতে পারতো, তবে কি আর ধন সম্পদ নিয়ে এত এত ভাগাভাগীর জন্য দ্বন্দ্ব ও বিচ্ছেদ তৈরী হতো?
-হতো না!

আর দ্বিতীয় বিবাহের কথাও ভাবা লাগতো।

পরিশেষে এই টুকুই বলে যাই- একজন স্ত্রী যদি স্বামীর দুঃখ বেদনা গুলোকে ভাগ করে নিতে পারে, তবে হয়তো এই পৃথিবীটাই হতে পারে একটি সুখময় স্বর্গরাজ্য!

(এই কথা বলার পর,পুরুষ লোকটি তার কাঁধের গামছা দিয়ে নিজের কপাল মুছতে মুছতে রেঁস্তোরা থেকে বেড়িয়ে গেলেন।অতপর সেই মহিলা দুজন পুরুষটির দিকে ফেল ফেল করে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।)


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!