শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’, হার মানাবে আয়লা ও আমফানকেও কুড়িগ্রামে নির্বাচনে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ, সহিংসতা হলে ছাড় পাবে না কেউ পাঁচবিবিতে পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করন জেলা পরিষদের সদস্যা নুরখাতুন এর নেতৃত্বে বাপি হালদারের সমর্থনে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর সংগ্রাম পুরে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা রংপুরে হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার,রংপুর এর আয়োজনে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত আলোচনায় স্বাধীন বাবুর নতুন গান ‘পোড়া চোখ’ চাঁদপুরে ভুয়া ডিবি আটক ফরিদপুর শেখ হাসিনার সাবদেশ প্রত্যাবর্তন দিবন পালন স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবসে শেখ হাসিনাকে যুবলীগের নেতা সবুজ এর শুভেচ্ছা  কুড়িগ্রামে পুরুষ ও কিশোরদের সম্পৃক্তকরণ ও পরিবেশগত তত্ত্বাবধান বিষয়ে কর্মশালা  এসিলেন্ডের হস্তক্ষেপে কচুয়ার মনপুরা উত্তর বিলে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে গনসংযোগ করেছেন প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ যুবরাজ মিরসরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার মিন্টুর লাশ দুবাই থেকে দেশে আনতে পরিবারের আকুতি পাঁচবিবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী শিখার পক্ষে কাজ না করতে নেতাকর্মীদের জেলা বিএনপির নির্দেশ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

রাজশাহী কারাগারে আসামি তিনগুণ ভাবাচ্ছে কারা কর্তপক্ষকে- দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ২৩৬ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০, ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

আকাশ সরকার রাজশাহী ব্যুরোঃ

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যে ওয়ার্ডে ৫০ জন বন্দি থাকার কথা সেখানে গাদাগাদি করে থাকেন অন্তত ১২০ জন। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে তাদের ঘুমাতে হয় রাতে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে সেখানে কারাগারে এটি নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থায় নেই। বিষয়টি ভাবাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, কারাগারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। এটি একটি বড় সমস্যা। কোনোভাবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি কারাগারে চলে এলে যে কী হবে সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তা রয়েছে। তবে আমরা সতর্ক আছি। বন্দিদের সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছি। সময়মতো গোসল, হাতধোয়া-এগুলো আমরা নিশ্চিত করছি। পাশাপাশি নতুন বন্দি এলে কারা ফটকেই চিকিৎসক দিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। তবে বুধবার হাজতি এবং কয়েদি মিলে বন্দির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৪০০ জন। মার্চের শুরুর দিকে এ সংখ্যা একটু কম ছিলো। এখন আদালতে জামিন শুনানি বন্ধ। কিন্তু প্রতিদিনই আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এতে কারাগারে বাড়ছে বন্দির সংখ্যা।

রাজশাহী মহানগর জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, আদালতে বিচারক আছেন। ছোট-খাটো যেসব মামলার জামিন গ্রেপ্তারের পরই সম্ভব তাদের জামিন দিচ্ছেন। কিন্তু বড় মামলার আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এদের আবার জামিনের আবেদন করতে পারছেন না আইনজীবীরা। পুরনো যেসব বন্দি কারাগারে আছেন তাদেরও জামিন শুনানি হচ্ছে না। ফলে কারাগারে বন্দি আসামির সংখ্যা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।

তবে বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেননি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, আদালতে জামিন শুনানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ৪০০ বন্দির জামিন হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন কোনো না কোনো কয়েদির সাজার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এর বিপরীতে এখন আসামি আসছেন কম। ফলে কারাগারে আগে যে রকম বন্দি থাকতেন এখনও সংখ্যাটা মোটামুটি সে রকম। তবে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি আছেন, এটা ঠিক। করোনাভাইরাস নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা একটা ভয়ের ব্যাপার।

গিয়াস উদ্দিন জানান, কারাগারে প্রতিদিন নতুন যেসব বন্দি আসছেন তাদের ১৪ দিন আলাদা করে রাখা হচ্ছে। আর কারাফটকেই চিকিৎসক তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। অসুস্থ কেউ থাকলে তাকেও পুরোপুরি আলাদাভাবে রাখা হচ্ছে। বুধবার কারাগারে এ রকম ৩৫ জন বন্দি আছেন।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!