দিনাজপুরের বিরামপুরে বিপুল উৎসাহে যথাযোগ্য মর্যাদা আর ধর্মীয় ভাব গম্ভীর পরিবেশে পবিত্র ঈদ-উল আযহা উদযাপিত হয়েছে। রবিবার (১০ জুলাই) বিরামপুর কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে সকাল সাড়ে ৭ টায় ঈদের প্রথম জামাত ও সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ-উল আযহা উদযাপন ও ঈদের দুটি জামাত সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ঈদের নামাজ পড়ান বিরামপুর পূর্বপাড়া মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল হাকিম ও দ্বিতীয় জামাতে নামাজ পড়ান বিরামপুর থানা মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আবু সুফিয়ান। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর কেন্দ্রীয় ঈদগা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আশরাফ আলী মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত আলী ইন্নাত, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মন্ডল সহ আরো অনেকে,
ঈদুল আজহা ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা। তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে বেঁধে যখন জবাই সম্পন্ন করেন, তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে।সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই ইব্রাহিম (আ.)-এর হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব। খতিব নামাজের খুতবায় কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরেন।কোরবানির মূল কথা হল ত্যাগ। সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে দরিদ্র প্রতিবেশীদের মধ্যে এর মাংস বিতরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।